GuidePedia
Latest News

0

স্পোর্টস : ক্রমেই এগিয়ে আসছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে টুর্ণামেন্টটি নিয়ে উন্মাদনাও বেড়েই চলেছে। শেষ নেই জল্পনা কল্পনার। টুর্ণামেন্ট শুরুর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি বিশ্বকাপ লাভ করে অন্যরকম এক উন্মাদনা। খেলার কিছু চরম মুহূর্ত দর্শক মানষে বাঁধে স্থায়ী বাসা। 
প্রতিটি বিশ্বকাপেই কিছু কিছু গোল হয় অসাধারণ। যেটি টুর্ণামেন্টে নতুন সুবাস ছড়ায়। টুর্ণামেন্টের শীর্ষ গোলদাতার আসনটিও উপেক্ষা করার বিষয় নয়। প্রতিটি খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে ফিফা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি দখল করার। এটি নিয়ে টুর্ণামেন্টের শুরু থেকেই চলে নানান জল্পনা কল্পনা এবং ভবিষ্যৎবাণী। টুর্ণামেন্ট শুরু হবার আগে যেমন অনুমান নিভর্র আলোচনা চলে কোন দলটি শিরোপা জয় করবে সেটি নিয়ে, তেমনি কে হবেন সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেটি নিয়েও আলোচনার কমতি থাকে না। অবশ্য সবচেয়ে বেশি গোলকরার বিষয়টি টুর্নামেন্টে কোন খেলোয়াড় কতটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তার ওপড়ও নিভর্রশীল। 
আসন্ন ব্রাজিল বিশ্বকাপে কে হবেন সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেটি নিয়ে ক্রীড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইড অবলম্বনে তথ্য পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হল। 
লিওনেল মেসি: শীর্ষ গোলদাতা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সবার আগে যে নামটি আসে তিনি হলেন, আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি। বিগত ৫/৬ বছর ধরে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার হয়ে সেরা খেলোয়াড়ের আসনটি দখল করে আছেন মেসি। দলটিকে একের পর এক পাইয়ে দিচ্ছেন শিরোপা। সে সঙ্গে ব্যক্তিগত পুরস্কারও জয় করে নিচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। তিনি তার ক্লাব বার্সেলোনাকে যেমন পাইয়ে দিয়েছেন দু’টি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ট্রফি, তেমনি চার দফা জয় করে নিয়েছেন বর্ষ সেরা ফুটবলারের খেতাব ‘ব্যালন ডিঅঁর’। 
তবে ক্লাব ফুটবলে মেসি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমটি অবশ্য এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে। ২০১০ বিশ্বকাপের আসরে একটি গোলও আদায় করতে পারেননি মেসি। যে কারণে ওই আসর থেকে আগেভাগেই বিদায় নিতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। সমালোচনাও কম সহ্য করতে হয়নি মেসিকে। তবে আসন্ন জুন মাসটি হচ্ছে মেসির ওই সমালোচনার জবাব দেবার উপযুক্ত সময়। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা পাইয়ে দেয়ার জন্য মেসির সামনে এটিই হচ্ছে সেরা সুযোগ। 
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো : ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হচ্ছেন আসন্ন বিশ্বকাপের আরেক বড় তারকা। যার ওপর নজর থাকবে ফুটবল বিশ্বের। বলতে গেলে তার একক প্রচেষ্টায় এবারের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ লাভ করেছে পর্তুগাল। টুর্ণামেন্টের বাছাই পবের্র দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সুইডেনের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেন ছোট দলের ওই বড় তারকা। ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বারের মত বর্ষসেরা ফুটবরারের খেতাব ‘ব্যালন ডিঅঁর জিতে নিয়েছেন রোনালদো। ২০১৪ সালেও একই রকম ফর্ম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ওই তারকা। দখল করেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন। পর্তুগালের জার্সি পড়ে বিশ্বকাপ খেলার সময় তার কাছ থেকে আরো যাদুকরী পারফর্মেন্স দেখার অধীর আগ্রহে বসে আছেন ফুটবল অনুরাগীরা। 
নেইমার: লাখ লাখ ব্রাজিলীয় ফুটবল অনুরাগীদের প্রত্যাশা কাঁধে নিয়ে বসে আছেন ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ব্রাজিলের উদীয়মান তারকা নেইমার। তাদের প্রত্যাশা ব্রাজিলকে ষষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেবেন ২২ বছর বয়সী নেইমার। অল্প বয়সেই দলকে বড় জয় পাইয়ে দেবার অভ্যাস গড়েছেন নেইমার। তাই চলতি আসরের বিশ্বকাপ জয়ের ব্রাজিলীয় স্বপ্ন তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন তিনি। করেছেন চার গোল। এর মধ্যে একটি গোল করেছেন ফাইনালে, স্পেনের বিপক্ষে। যার মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন আসন্ন বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের জন্য তিনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ড়। 
লুইস সুয়ারেজ: চলতি বছর ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে লুইস সুয়ারেজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোযাড় আর কেউ নেই। যিনি ডেনিয়েল স্টুরিজের সঙ্গে চলতি মৌসুমে ভেঙে দিয়েছেন সবচেয়ে গোল করার রেকর্ড। যদিও সবসময় বিতর্কিত সংবাদের শিরোনাম হতে ভালবাসেন এই ঊরুগুয়ান তারকা।’ঈশ্বরের হাত’ কিংবা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে কামড়ে দিয়ে গত বছর বার বার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন সুয়ারেজ। তবে এসব বিতর্ক তার ক্যারিয়ারকে কোনবাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি। ফুটবল এসোসিয়েশনের (এফএ) নিষেধাজ্ঞ য় পড়ে মৌসুমের ছয়টি ম্যাচে খেলতে না পারা সত্ত্বেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি ঠিকই নিজের দখলে নিয়েছেন সুয়ারেজ। তাও আবার বিরাট ব্যবধানে। ঊরুগুয়ের হয়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ২৭ ম্যাচ থেকে ২৪ গোল আদায় করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন মূলপর্বে। আসন্ন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে ওঠার মোক্কম সুযোগ সুয়ারেজের হাতে। 
থমাস মূলার : ২০১০ বিশ্বকাপ আসরের আগে অনেকে এই জার্মান খেলোয়াড়ের নামই শুনেননি। কিন্তু ওই আসরে পারফর্মেন্স দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন থমাস মূলার। আক্রমণ প্রতিভা দিয়ে তিনি মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। ফলে গোল্ডেন বুটের সঙ্গে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি জিতে নেন তিনি। ডেভিড ভিয়া ও ওয়েসলি ­েইডারের সমান ৫ গোল করে যৌথভাবে সেরা গোলদাতার আসনে নিজেকে বসিয়ে দেন মূলার। ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে দারুণভাবে ২০১৩ সালটি কাটিয়েছেন মূলার। ক্লাবকে পাইয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা। এখনো তিনি যে রকম পারফর্মেন্সে রয়েছে তাতে ২০১৪ সালের গোল্ডেন বুটটিও তিনি আরেকবার পাওয়ার দাবি রাখেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Emoticon
:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top