GuidePedia

0

ঢাকা: ইউরোপীয়দের কথা মনে আসলেই সাধারণত সাদা চামড়ার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানুষদের কথাই মনে পড়ে অনেকের। আবার ইউরোপ মানেই অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ যেখানে আরাম আয়েস আর বিলাসী জীবন যাপনের প্রতিক। কিন্তু সেখানেও যে বিত্ত বৈভব আর আয়েশি জীবনের ফাঁকে ফাঁকে অন্ধকার লুকিয়ে থাকে তা হয়তো অনেকেই ধারণা করতে পারেন না। মধ্য ইউরোপের দেশ চেক রিপাবলিকের বাসিন্দা লুডভিক রিঙ্কলেডকে দেখলে হয়তো অনেকে বিশ্বাসই করবেন না যে তিনি একজন ইউরোপীয়ান।

কারণ চিরাচরিত সাদা চামড়ার ইউরোপীয় লুডভিক হলেও, অযত্নে, অবহেলা আর নোংরা থাকার ফলে তার মুখে পড়েছে প্রচণ্ড ময়লার আস্তরণ। গালভর্তি দাঁড়ি-গোঁফ, লাল চোখ আর হলুদ দাঁতের ময়লা হাসি দেখলে হয়তো অনেকেই ঘৃণায় নাক কুঁচকাবেন।
কিন্তু দরিদ্র লুডভিক এমনই। তাকে বলা হচ্ছে ইরোপীয়দের মধ্যে সবচেয়ে নোংরা মানুষ। কারণ দীর্ঘদিন দাঁড়ি-গোঁফ না কামানো, মুখে ময়লার আস্তরণ, দাঁত না মাজা, ময়লা কাপড় পরিধানসহ নানা কারণে এখন তাকে অনেকেই এড়িয়ে চলে। আর ঘর-বাড়ি না থাকায় শীতকালে চেক রিপাবলিকের প্রচণ্ড বরফ হিম ঠাণ্ডায় তিনি রাতে একটু উষ্ণতার জন্য ঘুমান স্তুপ করা ছাইয়ের গাদায়।   

নোংরা লুডভিক বলেন, ‘আমি প্রতিদিন আমার কাপড় চোপড় উষ্ণ রাখতে গরম ছাইয়ের মধ্যে ঘুমাই। আমাকে দেখতে নরকের মানুষ বলে মনে হলেও এটা কোনো ব্যপার না। মানুষ আমাকে তাদের গাড়ির পুরনো টায়ার দেয় যাতে সেটা আমি পুড়িয়ে উষ্ণ থাকতে পারি।’

লুডভিক আরো জানান, তিনি একধরনের মানসিক সমস্যায়ও ভুগছেন। কিন্তু তার জীবনযাত্রা তাকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকেও রক্ষা করে।

যদিও তাকে আশেপাশের মানুষ মাসে চাঁদা তুলে ৮১ পাউন্ড দেয়। কিন্তু সব অর্থ একসঙ্গে দেয়া হয় না। কারণ লুডভিকের বদভ্যাস। টাকা পেলেই তিনি সিগারেট খান। লুডভিক দিনে ২০টি সিগারেট খান। অনেক চেষ্টা করেও তাকে ধূমপান ছাড়ানো সম্ভব হয়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top