GuidePedia

0

পৃথিবীতে এমন সব স্থান আছে যা দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। মর্ত্যের পৃথিবীতে এমন সুন্দর সব স্থানের কথা কমবেশি আমরা সবাই জানি। আমাদের মুখস্থই রয়েছে নায়াগ্রা ফলস, প্যারিস, হাওয়াই দীপপুঞ্জ বা মিশরের পিরামিডের সৌন্দর্যের কথা। অথচ এদের বাইরেও যে পৃথিবীতে আরও অনেক স্থান রয়েছে আমাদের জানার বাইরেও! বিভিন্ন দেশে, প্রকৃতির নিভৃতে অথবা মানববসতির মাঝেই রয়েছে এমন সব দর্শনীয় স্থান যার ব্যাপারে আমরা একেবারেই জানি না। আসুন জানি অজানা এসব স্থানের অস্তিত্ব।

১) মাউন্ট নেমরুত

তুরস্কের উচু পাহাড়ি এলাকার মাঝে অবস্থিত নেমরুত পাহাড় প্রত্নতাত্বিক আবিষ্কারের দিক দিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। পাথর কুঁদে তৈরি করা বিশালাকৃতির মাথাগুলো এখানকার বৈশিষ্ট্য। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে এদের তৈরি করা হয়েছিলো তৎকালীন রাজবংশীয়দের সম্মানে।

২) ভূগর্ভস্থ নদী

রুপকথার মতো অদ্ভুত শোনায় ব্যাপারটা, মাটির নিচে নদী! মেক্সিকোর ইউকাটান পেনিনসুলার এই অসাধারণ প্রাকৃতিক নিদর্শন আসলেও দেখার মতো সুন্দর। লোনা পানির সাথে হাইড্রোজেন সালফেট মিশে তৈরি করে ভারি এক ধরনের পানি, যা নদীর মতই এক প্রবাহ তৈরি করেছে।

৩) ইগুয়াজা ফলস

ব্রাজিলের পারানা এবং আর্জেন্টিনার মিশনস এলাকার কাছে অবস্থিত এই জলপ্রপাত প্রকৃতির সপ্ত আশ্চর্যের একটি, জানতেন কি?

৪) ফলকার্ক হুইলস

যদিও প্রকৃতির তৈরি নয়, কিন্তু স্কটল্যান্ডের এই ফলকার্ক হুইলস যে অসাধারণ এক দৃশ্য তা আপনাকে মেনে নিতেই হবে। ২০০২ সালে কাজ শুরু করা এই "লিফট" ক্লাইড ক্যানাল এবং ইউনিয়ন ক্যানালের মাঝে জলযান ওঠানামা করায়।

৫) অ্যারিজোনা ব্লোহোল

এর পোশাকি নাম হলো উপাটকি ন্যাশনাল মনুমেন্ট। অ্যারিজোনার ফ্ল্যাগস্ট্যাফে অবস্থিতি এই ব্লোহোল। এই এলাকাকে ঘিরে রয়েছে রহস্য। ধারনা করা হয় এখানকার মৃত অধিবাসীরা এই ব্লোহোলের আশেপাশে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহারা দিয়ে থাকে।

৬) বাবা গুরগুর

উত্তর ইরাকে অবস্থিত বাবা গুরগুরকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর সবচাইতে বড় তেলের খনি বলে মনে করা হতো। প্রচুর পরিমানে তেল থাকার কারণে বিখ্যাত হলেও এর রয়েছে আরও একটি পরিচিতি। "ইটারনাল ফায়ার" বা চিরস্থায়ী এক আগুন জ্বলছে এখানে। ক্রমাগত প্রাকৃতিক গ্যাস বের হয়ে আসার ফলে এই আগুন কখনোই নেভে না।

৭) লেক রেটবা

গোলাপি রঙের পানি দেখতে পাচ্ছেন? না, চোখের ভুল নয়। এই লেকের পানি আসলেই গোলাপি। সেনেগালের ক্যাপ বার্টের এই লেকের পানিতে Dunaliella salina নামের শ্যাওলার উপস্থিতির কারণে এর রঙ এমন। অনেক বেশি লবন থাকায় এই পানিতে কোনো কিছু ভেসে থাকাও অনেক বেশি সহজ।

৮) সন-ডং গুহা

পৃথিবীর সবচাইতে বড় এই গুহার অবস্থান হলো ভিয়েতনামে। অন্যরকম, গা ছমছম করা সৌন্দর্য রয়েছে এই গুহার। শুধু তাই নয়, এই গুহার মাঝেও বয়ে চলেছে বেশ কিছু নদী।

৯) ক্যাটেড্রাল ডে মারমল

চিলির এই জায়গার নামের আক্ষরিক অর্থ হলো- মার্বেলের ক্যাথেড্রাল। জেনেরাল ক্যারেরার তীরে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ক্ষয় হতে হতে তৈরি হয়েছে এই বিস্ময়। নজরকাড়া সুন্দর এই এলাকায় যেতে পারবেন আপনি ছোট একটি নৌকায় করে।

১০) রেইনবো মাউন্টেইনস

রেইনবো মাউন্টেইনস বা "রংধনু পাহাড়"- এই নাম শখ করে রাখা হয়নি। এই পর্বতমালা দেখতে আসলেই বিস্তৃত রংধনুর মতো। প্রথম দেখাতে মনে হবে সারা পৃথিবীর যত রঙ আছে সব ঢেলে দেওয়া হয়েছে চীনের গানসু অঞ্চলের এই পাহাড়গুলোতে। এতো ঝলমলে রঙ তৈরি হয়েছে লাল মাটির পাহাড়ে বিগত ২৪ মিলিয়ন বছর ধরে বিভিন্ন খনিজ জমা হবার ফলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top