GuidePedia

0

অসম প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ৯ সন্তানের জনক, ৭০ বছরের ইমান আলী ১৬ বছরের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ইতিপূর্বে ইমান আলীর ৩ স্ত্রী গত হয়েছেন। এটা ইমান আলীর ৪র্থ বিয়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সংসার জীবনে বৃদ্ধা ইমান আলী ৯ সন্তানের জনক। তার বাড়ি পূর্ব হালুয়াঘাটে। ইমান আলী ভাসমান ছোট-বড় প্রতিটি বাজারে জিলাপির দোকান বসিয়ে ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নিপুণ হাতের তৈরি জিলাপির এলাকায় বেশ কদর রয়েছে। রসে ভরা জিলাপির ভক্ত অনেকেই। তিনি যেখানেই জিলাপির দোকান বসাতেন সেখানেই ব্যবসা জমে যেত। তাই জীবনে তেমন অভাব বোধ করেননি।

ব্যবসার সূত্র ধরেই গত বছর তার দোকানে দিপালী নামে এক মেয়ের পরিচয় হয়। আর পরিচয় থেকেই দিপালী ঘনঘন জিলাপি খাওয়ার নেশায় ছুটে আসতো ইমান আলীর দোকানে। এক দু’কথায় কথা বাড়তে থাকে। শুরু হয় ভালবাসার গভীরে যাওয়ার প্রেমের কথা। ধর্ম, বর্ণ, বয়স কোন কিছুই তাদের মাঝে দূরত্ব বলে মনে হয়নি।

গড়ে উঠে প্রেমের আর এ সম্পর্কের কারণে প্রায় প্রতিদিন জিলাপির দোকানে জিলাপি খেতে আসতো হালুয়াঘাটের পূর্ব সমনিয়াপাড়া গ্রামের কিশোর লাল ভাস্করের মেয়ে দিপালী। গত ১৯শে মার্চ দুজনেই অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। কিছুদিন পরে ইমান আলী পূর্বের মতোই এলাকায় ফিরে এসে আবার দোকান বসায়। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন তার সঙ্গে যাওয়া দিপালী কোথায়? এর উত্তর যখন মিলছিল না তখন ৫ নং গাজীরভিটা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে খবর যায়।

পরে চেয়ারম্যান দিপালীকে হাজির করার জন্য ইমান আলীকে চাপ দিলে বাঘাইতলা গ্রাম থেকে দিপালীকে নিয়ে ইমান আলী হাজির হয়। অবশেষে এলাকাবাসী ও ৫ নং গাজীরভিটা ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দিপালী ধর্মান্তরিত হয়ে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। দিপালীর বর্তমান নাম মোসাম্মৎ সুমী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top