GuidePedia

0

চিকিৎসা বিজ্ঞান বুঝি লাফ দিয়ে আরও খানিকটা এগিয়ে গেলো। বলা ভালো যে ৮ বছর আগেই এগিয়েছে, কেবল ফলাফলটা জানা গেলো সম্প্রতি। যেখানে কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি নিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী জুড়েই চলছে নানা রকম গবেষণা, সেখানে সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী প্রকাশ করলেন যে ৮ বছর আগেই তাঁরা ৪ জন উঠতি বয়সী নারীর দেহে কৃত্রিম যৌনাঙ্গ স্থাপন করেছেন। এই চারজন এখন প্রাপ্ত বয়স্ক, তাঁদের যৌন জীবন চমৎকার। এবং এখন পর্যন্ত গর্ভ ধারণের ঘটনা ঘটলেও এদের মাঝে দুজনের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও আছে। বিবিসি ও ডেইলি মেইল সহ নামজাদা সব বিদেশী পত্রিকায় দুদিন আগে প্রকাশিত হয় এই ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন।
যোনিপথে জন্মগত ত্রুটির কারণে অনেক নারীরই জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এতে গর্ভধারণ ও স্বাভাবিক যৌনকর্মে সমস্যা হয়। তবে এ সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি যোনিপথ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েক ফরেস্ট ব্যাপ্টিস্ট মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা সম্ভব করেছে এই অসম্ভবকে। এতে রোগীর নিজের দেহের কোষ দিয়েই গবেষণাগারে যোনিপথ তৈরি করা হয়। পরে এগুলো তাদের দেহে স্থাপন করা হয়।
২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের মাঝে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী চারজনের ক্ষেত্রে এই অপারেশন করা হয়। এবং এখন তাঁরা সকলেই ভালো আছেন। তাঁদের মাঝে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জানান- "আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ অপারেশনের পর আমি একটি স্বাভাবিক জীবন পেয়েছি। একদম স্বাভাবিক।"
এ কাজে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. অ্যান্থনি অ্যাটালা বলেন, ‘অনেক রোগী আছেন যাদের যোনি ছোট এবং তারা অস্ত্রোপচার ছাড়া অন্য পদ্ধতির মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন। কিন্তু যাদের এ অঙ্গটিই নেই তাদের জন্য এ পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে।’
ড. অ্যাটালা কৃত্রিমভাবে যৌনাঙ্গ তৈরির এ গবেষণায় কাজ করছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে। কীভাবে উপযুক্ত কোষ সংগ্রহ করে যোনিপথ তৈরি করতে হয় তা নিয়ে গবেষণা করেছেন দীর্ঘদিন। এরপর সে পদ্ধতি ইদুরের ওপর পরীক্ষা করেছেন।’
ড. অ্যাটালা বলেন, ‘আমরা যা করি তা হলো, খুব সামান্য পরিমাণ টিস্যু নেই রোগীর দেহের অপরিণত অঙ্গ থেকে। এ স্যাম্পলের আকার হতে পারে একটি স্ট্যাম্পের অর্ধেক।’
গবেষকরা এ স্যাম্পল নিয়ে গবেষণাগারে বায়ো-রিঅ্যাক্টরের ভেতর বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা বাড়িয়ে তোলেন। সম্পূর্ণ অঙ্গ গঠনের পর তা যথেষ্ট স্থিতিশীল হলে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর দেহে স্থাপন করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে সুইজারল্যান্ডের গবেষকেরা এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের নাক পুনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সূত্র- বিবিসি নিউজ ও ডেইলি মেইল

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top