GuidePedia

0
আমাদের দেশে অসম প্রেম ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ।পত্রিকার পাতা উল্টোতেই চোখে পড়ে নানা অসম প্রেমের খবর। চাচীর সাথে প্রেম,ভাবির সাথে দেবরের,শালিকার সাথে দুলাভাইয়ের ,ভাগনের সাথে মামী ও খালার প্রেম,ফুফুর সাথে ভাতিজার প্রেম,চাচার সাথে ভাতিজির প্রেম,ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের প্রেম। ছি এসব খবর শুনলে মনে হয়,আমিই মরে যাই ।

ভারতীয় বাংলা সিরিয়াল দেখে পরকীয়ায় আসক্ত হচ্ছে । নারীদের কুরুচিকর পোশাক দেখে তরুণরা বিপথে ধাবিত হচ্ছে । আসুন আমরা সচেতন হই ।যেসব মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পতিতা । অপরদিকে,যেসব মেয়েরা হাজার টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে সোসাইটি গার্ল । যারা আর একটু বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে পার্টি গার্ল । আর সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে থাকথিত শিক্ষিত মেয়েরা যখন রাস্তা দিয়ে দেহ দেখিয়ে- দেখিয়ে হাঁটে SC, NSU, KFC,ধানমণ্ডি লেকে বয়ফ্রেন্ডের কোলে বসে আড্ডা দেয়, মাঝে মাঝে ** খায়, কিস খায় এবং মাঝে মাঝে সেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে যায়, পয়লা বৈশাখে লাল- সাদা শাড়ী পড়ে হাজারটা ছেলের সাথে ডলাডলি করে, পান্তা খায়, আর রিক্সায় হুড তুলে দিয়ে ** , আবার বলে আমরা শুধুই ফ্রেন্ড ! সমাজ তখন তাঁদের বলে আধুনিক মেয়ে ! তাদের নিয়ে কথিত (!) দৈনিক পত্রিকায় লেখা হয় “দেশে নারীরা সমান অধিকার পাচ্ছে” । হাজার-হাজার মেয়েরা বছরে বছরে জিপিএ ৫ পাচ্ছে, আবার পরিমলের সাথে শুটিং (!) করতে পারছে । যারা আরও বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী (সব মডেল বা অভিনেত্রীকে বলছি না)।

সমাজের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল ! তাদের আবার ভিডিও বের হয়।কিন্তু তারপরও তারা সমাজে সকলের নিকট সম্মানপ্রাপ্ত । অথচ দেহ ব্যবসায় যারা শুধুমাত্র পেটের দায় করে বা জোরপূর্বক তাদের করানো হয়,তারাই বেশ্যা বলে আখ্যায়িত । কিন্তু কেন ? তাঁদের এত টাকা-পয়সা, পাওয়ার নেই বলে ? থুতু মারি সুশীলদের এই দ্বৈত নীতিকে । যারা পেটের দায়ে এই ঘৃণ্য কাজটি করে তাঁদেরকে আমি পতিতা বলি না, আমি পতিতা বলি তাদেরকে যারা অর্থ বা কাজের লোভে পর পুরুষের সামনে বিবস্ত্র হতে দ্বিতীয় বার ভাবে না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top