সকলেই জানেন মহাবিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত প্রশংসাপত্র না থাকলে কারও পক্ষে কোনো চাকরি পাওয়া কিংবা করা সম্ভব নয়। কার্যত সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র পেতে মেধার থেকে প্রথমে প্রয়োজন হল স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত নির্ধারিত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রশংসাপত্র। পদ প্রার্থীর আধিক্যের জন্য বহুলাংশে দেখা হয় নম্বরপত্রে পাপ্ত নম্বরের আধিক্য।
তবে এবার এই সম নিয়ম এক্ষেত্রে কার্যত ব্রাত্য রেখে একপ্রকারের পর্যবেক্ষণ মূলক প্রজ্ঞা কিংবা মেধার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গের গোরখপুরের রামজানকি নগরের রিকশাচালক গঙ্গারামকে বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার ডাক এসেছে। তিনি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করবেন কিনা তা তার সিদ্ধান্তের উপর দাঁড়ায়ে। বাকীটা এখন সময়ের অপেক্ষা।
একাধিক গবেষাণা করে ইতোমধ্যে নাম যশ করে ফেলেছে এই রিক্সাচালক গঙ্গারাম। তিনি এমন সব যানবহন তৈরি করেছেন যেগুলোতে নাকি জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হবে কেবল জল অর্থাৎ পানি, লাগবে না মূল্যবান তেল কিংবা ব্যাটারি। এটাই তার দাবি। এমনি ট্র্যাক্টর, আশ্চর্য সাইকেল আবিষ্কার করেছেন তিনি। এগুলো চালাতে কেবল দরকার ‘পানি’। এরই সুবাদে বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃক তাকে অধ্যাপনা করার অনুরোধ জানানো হয়।
অদ্ভুত গবেষণা খবর চাউর হতেই রাউরকেল্লার বিজ্ঞানীরা এরং বারানসি হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিশ্রুতি দেয় গ্রামে গঙ্গারামের বাড়ি গিয়ে তার আবিষ্কার দেখে আসার এবং পর্যবেক্ষণ করার। এ আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করে যথাশীঘ্রই শুরু হবে প্রজেক্টের কাজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন