বিনোদন : বেশ কয়েক বছর ধরেই অগ্নি, রাজত্ব মন পুরার মতো চলচ্চিত্রের স্বাদ পেতে শুরু করেছে দর্শকেরা। বাংলা চলচ্চিত্র অশ্লীলতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দর্শকদের করেছে হলমুখি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মুক্তি পাচ্ছে বহু দিন ধরে আটকে থাকা অশ্লীল সিনেমাগুলো।
২০০৭ সালের দিকে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে র্যাঁবের অভিযান শুরু হলে পলি, মুনমুন, ময়ূরী, প্রিন্স, আরবাজ খান, শাহীন আলম, শাপলা, নদী, সাকিবা, মেহেদীসহ তখনকার অনেক নায়ক-নায়িকা গা ঢাকা দেয় । একই সাথে অশ্লীল ছবির নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশকরাও গা ঢাকা দিয়েছিল।
গত ২১শে মার্চ মুক্তি পায় রাজু চৌধুরী পরিচালিত ‘এক নাম্বার আসামী’ ছবিটি। এতে অভিনয় করেছে রুবেল, পলি, মৌমিতাসহ অনেকে। ছবিটি সেন্সর পেয়েছিল ১০ই সেপ্টম্বর, ২০০৭। আগামী ২৫শে এপ্রিল মুক্তি পাবে প্রিমিয়ার প্রোডাকশন প্রযোজিত আবু সাঈদ খানের ‘দুধর্ষ রাজা’। এতে অভিনয় করেছেন শাহীন আলম, শাপলা, আরবাজ খান প্রমুখ। ছবিটি সেন্সর পায় ২৫শে জুন, ২০১১।
আবু সাঈদ খানের আরেকটি ছবি ‘আসবো না ফিরে’ মুক্তি পাবে আগামী ২রা মে। ছবিটিও সেন্সর পেয়েছিল ২০১১ সালের ১৪ই নভেম্বর । এতে অভিনয় করেছে ডলি জহুর, প্রবীর মিত্র, মুনমুন প্রমুখ। প্রযোজনায় আছে মায়ের দোয়া চলচ্চিত্র।
অমি চলচ্চিত্র প্রযোজিত ও পি এ কাজল পরিচালিত ‘বাংলার দুশমন’ ছবিটি সেন্সর পেয়েছিল ২০০৮ সালের ২১শে জানুয়ারি। ছবিটি আগামী ৩০শে মে মুক্তি পাবে। এতে অভিনয় করেছে আলেকজান্ডার বো, অমিত হাসান, সাকিবা, সামিরা, মিশা সওদাগর, মিতালী প্রমুখ। একই দিনে মুক্তি পাবে অসংখ্য অশ্লীল ছবির পরিচালক স্বপন চৌধুরীর ‘চোরের রানী’ ছবিটি। ২০০৭ সালের ২০শে এপ্রিল সেন্সর পেয়ছিল ছবিটি। চতুরঙ্গ চলচ্চিত্র প্রযোজিত ছবিটিতে অভিনয় করেছে অমিত হাসান, পলি, মিজু আহমেদ প্রমুখ।
মেহেদী, নদী, মিশা সওদাগর ও আমিন খান অভিনীত ‘ক্ষোভ’ মুক্তি পাবে আগামী ৬ই জুন। শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ছবিটি প্রযোজনা করেছে মনোয়ারা ফিল্মস। এটিও সেন্সর পেয়েছিল ১৯শে জুন, ২০০৮।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্রে জানা গেছে ছবিগুলো ডিজিটালে কনভার্ট করে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কম বাজেটে নির্মিত এইসব ছবি গুলোর বেশিরভাগই মফস্বলের হলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছবিগুলোর মাঝে অশ্লীল দৃশ্য জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলা চলচ্চিত্র যখন অশ্লীলতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তখন এইসব ছবি মুক্তি আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এইসব ছবি আমাদের চলচ্চিত্রের নতুন করে সৃষ্টি হওয়া দর্শকদের আবার হল বিমুখ করবে। এইছাড়া এইসব ছবি মুক্তির কারনে অনেক সময় অনেক ভাল ছবি মুক্তির ভাল কোন তারিখ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একই সাথে এই ছবির পোস্টারে ডিজিটাল ছবি শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে সাধারন দর্শকদের মাঝে ডিজিটাল ছবি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন