GuidePedia

0

সাধারণত আমরা দেখি, ছেলেদের হাতেই মেয়েরা প্রতারণার শিকার হন, আর প্রতারিত মেয়েটি অনেক সময় সমাজে চক্ষুলজ্জার ভয়ে সে কথা কাউকেবলতেও পারেন না! কিন্তু না, সেই যুগ যেন পাল্টে গেছে, ছেলেরাই এখন প্রতারিত হয়ে চক্ষুলজ্জার ভয়ে কাউকে সেই কথা বলতেও পারছেন না! এমনই একটি চরিত্রের সন্ধান মিলেছে সমুদ্র শহরের জেলা কক্সবাজারে। ফেইসবুক ও স্কাইপির মতো আধুনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন যুবককে প্রতারণার শিকার বানিয়ে ফেলেছে মোহছেনা আকতার ওরফে মোহনা পরিচয়ের ওই যুবতি! একাধিক অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকার আলফা গলির জাগির হোসেন সড়কের একটি কলোনিতে ‘মোহনা’ নামের ছদ্মবেশ ও ‘সাতকানিয়ার মেয়ে’ পরিচয়ে বসবাসকারি ওই যুবতি ফেইসবুক ও স্কাইপিতে দেশি ও বিদেশে বসবাসকারি বাংলাদেশি তরুণদের কাছে নিজের যৌন আবেদনময়িতা তুলে ফেলে। পরে ‘শরীর’ প্রেমের ওই ডিজিটাল প্রেমে আটকে যাওয়া তরুণদের ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা! সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মোহছেনা আকতার নামের ওই মেয়েটি ফেইসবুকের মাধ্যমে নিজের যৌন আবেদনময়ী ছবি প্রকাশ করে কতিপয় দেশি ও প্রবাসি তরুণদের নিজের মোহজালে আটকে ফেলে। পরে সেই সকল ‘বন্ধু’দের নিয়ে যায় স্কাইপি নামের আধুনিক ভিডিও কলের জগতে। সেখানে নিজের শরীরের গোপন ও আবেদনময়ী অঙ্গ প্রদর্শন করে ওই সকল তরুণদের উত্তেজিত করে তুলে এবং সেই তরুণদের স্কাইপিতে নিজেদের গোপন অঙ্গ দেখাতে প্রলুদ্ধ করে। যখন নেশাময় সেই যৌনতার সুযোগে মোহজালে আটকে যাওয়া তরুণরা নিজের গোপন অঙ্গ প্রদর্শন করে তখনই সেই ভিডিও চিত্র রেকর্ড করে নেয় মোহছেনা ওরফে মোহনা নামেই নষ্টা ওই মেয়েটি। বিদেশি একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামের ওই মেয়েটি প্রতারণার শিকার করতে বেছে নেয় ধনবান ও প্রবাসি তরুণদের। যারা চাইলেই তাকে লাখ লাখ টাকা দিতে পারে! আর স্কাইপিতে রেকর্ড করা ভিডিও চিত্র এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয় ওই তরুণদের! বিপুল অংকের টাকা দাবি করে না পেলে সেই সব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় সেই মেয়েটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোহছেনা আকতার চট্টগ্রামে বসবাস করলেও সে মূলতঃ গ্রামের মেয়ে। তার বাবা ভারুয়াখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, নিজের প্রতারণা নির্বিঘœ করতে ‘মোহনা’ নামের আড়ালে ঢাকা পড়া মোহছেনা নামের মেয়েটি বেছে নিয়েছে ‘বোরকা’। যে মেয়েটি এক সময় থ্রি-পিস ও কলেজ ড্রেস পড়ে চলাফেরা করতো এখন সে ঘুরে বেড়ায় বোরকা পড়ে! বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার জাগির পাড়ার যুবক শওকত জানান, মোহছেনা আকতার একজন ‘লম্পট’ চরিত্রের মেয়ে। তার অপকর্ম নিয়ে এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনেকবার বিচার শালিস করেছেন। কিন্তু তার লাম্পট্য বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, ‘এই মেয়েটি মোহছেনা আমাকে স্বাক্ষী রেখে পবিত্র কুরআনের কভারে বাংলা ডিকশনারি ঢুকিয়ে পবিত্র কুরআন মর্মে ছুঁয়ে বিশ্বাস দেখিয়ে অনেক যুবকের সাথে প্রতারণা করেছে। আবদুল করিম নামের প্রতারিত এক যুবক জানান, মুসলিম পরিবারের মেয়ে মোহছেনা অপবিত্রতা করে চলেছে। অনেক প্রবাসি যুবকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি করেন এই যুবক। তার দাবি, মেয়ের এই প্রতারণায় খোদ তার পিতা মোঃ আলমও জড়িত রয়েছেন। এলাকার মুরব্বি জামাল, শাহীন ও আবদুল জব্বার জানান, ধনী পরিবারের ছেলেদের সাথে মোহছেনা প্রেমের অভিনয় করে যুবকদের বশ করে তার পিতার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তাদের দাবি, পিতাই টাকার বিনিময়ে নিজের মেয়ের সাথে অবাধে অবৈধ মেলামেশা ও একসাথে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়! খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোহছেনা আকতার ওরফে ‘মোহনা’ বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি পাবলিক কলেজে এলএলবি শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছে। সে আইন পেশায় আসার জন্য চেষ্টা করলেও নিজে করে চলেছে বেআইনি কাজ, এমনই দাবি এলাকাবাসির। তবে এ ব্যাপারে ‘বিতর্কিত’ ওই মোহছেনা আকতার ও তার বাবা মোহাম্মদ আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top