দুয়ারে দাঁড়ানো বাংলা নতুন বছর ১৪২১। এই সময় সবাই মেতে উঠেছে নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন সবাই। অনেকেই এই দিনটি বেশ বিশেষ করেই পালন করে থাকেন। পান্তা ইলিশ এবং বাঙালিয়ানা পোশাকে সাজ সাজ রব পরে যায় সবখানে। মেলায় যাওয়া এবং ঘোরাফেরার মধ্যেই দিনটি পার হয়ে যায়। এই দিনে মেয়েরা সাজেন বাঙালি সাজ। সাদা শাড়ি লাল পাড় কপালে টিপ, হাতে চুড়ি কতো কি। কিন্তু ছেলেরা? ছেলেরা কি সাজবেন না এই বৈশাখে? বৈশাখের এই আনন্দ উৎসব যেমন মেয়েদের তেমনই ছেলেদেরও। তাই সাজগোজ আলাদা হলেও ছেলেরাও পিছিয়ে নেই বর্ষকে বরণ করার দিক থেকে।
পোশাক আশাক
বৈশাখে মেয়েরা যেমন বাঙালিয়ানা সাজে সাজেন ঠিক তেমনই ছেলেরাও বাঙালি ধাঁচের পোশাকে নিজেদের সাজাতে পারেন। পাঞ্জাবী, ফতুয়া ইত্যাদির মাধ্যমে নিজের লুকে আনতে পারেন বাঙালিভাব। গরমের সময় পাঞ্জাবী এবং ফতুয়া দুটোই বেশ আরামদায়ক পোশাক। বিশেষ করে সুতি কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবী এবং ফতুয়া। আজকাল অনেক ফ্যাশন হাউজে শুধুমাত্র বৈশাখকে সামনে রেখে নানা ধরণের কাপড়ে আরামদায়ক করে তৈরি করা হয় বৈশাখের পোশাক। সাদা ও লালের মিশ্রণে, কিংবা শুধু সাদা অথবা লাল কাপড়ের পাঞ্জাবী ও ফতুয়া বেশ ভালো মানায় ছেলেদের। তবে ইদানীং শুধু লাল ও সাদায় থেমে মেই বর্ষবরণ। হলুদ, সবুজ ও নীল রঙের ছড়াছড়িও দেখা যায় বৈশাখে। বর্তমানের ফ্যাশনে যোগ হয়েছে লুঙ্গী চেক। লুঙ্গী চেকের কাপড়ে তৈরি পোশাকের ব্যবহার এখন সব চাইতে বেশি হচ্ছে। পছন্দের যে কোনো রঙের ও চেকের পাঞ্জাবী এবং ফতুয়ায় ছেলেরা নিজেদের সাজাতে পারেন এই বৈশাখে।
এক্সেসরিজ
মেয়েদের সাজগোজের সাথে এক্সেসরিজের কমতি নেই। কিন্তু ছেলেরাও এর থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। পাঞ্জাবী বা ফতুয়ার সাথে মিলিয়ে সাথে বেশ কিছু এক্সেসরিজের সঠিক ব্যবহারে আপনি পেটে পারেন স্টাইলিশ লুক। এখন ফ্যাশনে যোগ হয়েছে গামছার প্রচলন। একটু স্টাইল করে পাঞ্জাবী বা ফতুয়ার সাথে গলায় ঝোলাতে পারেন একটি গামছা। কিংবা বাঙালিয়ানা ধাঁচ পুরোপুরি আনতে মাথায় বা কোমরে বাঁধতে পারেন গামছা।
রোদের কারনে সাথে রাখুন একটি সানগ্লাস ও ক্যাপ। চোখ এবং মাথা দুটোকেই রোদের হাত থেকে বাঁচাতে এই দুটি জিনিস অবশ্যই সাথে রাখা উচিৎ। এছাড়া সাথে রাখুন একটি রুমাল। গরমের সময় বেশ ভালো কাজে দেবে এই জিনিসটিও।
রোদের কারনে সাথে রাখুন একটি সানগ্লাস ও ক্যাপ। চোখ এবং মাথা দুটোকেই রোদের হাত থেকে বাঁচাতে এই দুটি জিনিস অবশ্যই সাথে রাখা উচিৎ। এছাড়া সাথে রাখুন একটি রুমাল। গরমের সময় বেশ ভালো কাজে দেবে এই জিনিসটিও।
জুতো
জুতো নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারন বৈশাখ মানেই ঘোরাফেরা এবং হাঁটাহাঁটি। তাই হাঁটাহাঁটিতে আরামদায়ক জুতো নির্বাচন করুন। স্যান্ডেল জাতীয় জুতো নির্বাচন করবেন। যদি গরম সহ্য করতে পারেন তবে একটু ঢাকা স্যান্ডেল পরাই ভালো। কারন রোদের মধ্যে বেশি খোলা স্যান্ডেলে পা পুরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাঁটাহাঁটি করতে আরাম এমন জুতোই নির্বাচন করুন।
ছবি- রঙ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন