
লাইকোসিস (likosis)
লক্ষণ: চোখের সামনে ছবি কিংবা স্ট্যাটাস আসা মাত্রই লাইক বাটন ক্লিক করা।
লাইকোফোবিয়া (likophobia)
লক্ষণ: যত মজার স্ট্যাটাস কিংবা ছবিই হোক, এই রোগে আক্রান্ত রোগী তা কখনোই লাইক দেবে না।
শাইএফবিমায়াসিস (shyfbmiasis)
লক্ষণ: অনেক দিন পর পর ফেসবুকে লগড-ইন হবে। দুই সপ্তাহ কিংবা তিন সপ্তাহের অধিক এই সময়কাল হলে বুঝতে হবে রোগী শাইএফবিমায়াসিসে আক্রান্ত।
চ্যাটোফোবিয়া (chatophobia)
লক্ষণ: এ ধরনের রোগী কখনোই অনলাইন হবে না। যদিও কালেভদ্রে অনলাইন হয়, তা-ও কেউ নক করলেই আবার অফলাইনে চলে যায়।
অনলাইনোমায়াসিস (onlineomiasis)
লক্ষণ: এ ধরনের রোগীকে সব সময় অনলাইনে পাওয়া যায়। হোক তা মোবাইল থেকে অথবা কম্পিউটার।
ট্যাগ সিনড্রোম (tag syndrome)
লক্ষণ: এই রোগাক্রান্ত রোগী দিনে একাধিক ছবি আপলোড করে সবাইকে ট্যাগ দিয়ে থাকে। লাইক পাক বা না পাক, এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।
স্যাডসিনড্রোম (sadsyndrome)
লক্ষণ: এ ধরনের রোগী সারা দিন ফেসবুকে দুঃখের কবিতা কিংবা আই হেট লাভ টাইপ স্ট্যাটাস দেয়।
রিকোয়েস্ট সিনড্রোম (requestsyndrome)
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগী যাকে সামনে পায় তাকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। হোক সে ছেলে কিংবা মেয়ে।
কমেন্টটোলারিয়া (commentolaria)
লক্ষণ: এই রোগাক্রান্ত রোগী সব পোস্টেই অসাম, সুপারব, ওয়াও টাইপ কমেন্ট করতে ব্যস্ত।
রাবিশথোসিস (rubbisthosis)
লক্ষণ: এ ধরনের রোগীর কাছে পৃথিবীর সবকিছুই রাবিশ, অর্থহীন আর নেগেটিভ।
পোস্টলিও (postlio)
লক্ষণ: পোস্টলিও রোগে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ হচ্ছে, মেয়েদের ওয়ালে কবিতা ও সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করা।
এডিক্টটোমায়োলজি (Addictomiology)
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগীর ফেসবুকের চিন্তায় ঘুম আসে না। চব্বিশ ঘণ্টাই এরা ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকে।
স্ট্যাটিওলাইসিস (statiolysis)
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগী দিনে অজস্রবার স্ট্যাটাস আপডেট করে হোম পেজ ভরিয়ে রাখে।
ডি-অ্যাক্টিবেসিস (deactibasis)
লক্ষণ: ঘন ঘন আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করা এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রতিকার: কমপক্ষে সাত দিন ফেসবুক থেকে দূরে থাকা। এবং মস্তিষ্ক রিফ্রেশ করা। এতেও কাজ না হলে প্রতিটি রোগের অ্যান্টি রোগ ফলো করা।
রাব্বী আহমেদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.