
পরিচ্ছন্ন-গোছগাছ
কেবল উচ্চতাই নিজেকে উপস্থাপন করার গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর না। মূল বিষয় হচ্ছে নারী লক্ষ করে কোন পুরুষ নিজের বিষয়ে কতোটা সচেতন। পুরুষকে যথার্থ সতর্ক থাকতে হবে প্রথম দেখায়। হতে হবে নিজের প্রতি যত্নশীল, মনে রাখবেন এলোমেলো চুল, নোংরা নখ, দুর্গন্ধযুক্ত মোজা, কালি ছাড়া জুতা, শার্ট বা জিন্সে দাগ এমন যে কোন বিষয় হতে পারে অপছন্দ করার অন্যতম কারণ।
পোষাক জ্ঞান
খুব দামী কাপড় পরে নারীর সামনে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে, পোশাকটি অবশ্যই ফ্যাশনেবল এবং আধুনিক ডিজাইনের হতে হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে, যেন পোশাকে সাবলিল থাক যায় ।যাতে করে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।
ব্যাক্তিত্ব জ্ঞান
নারীর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল যে তারা পুরুষের বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন রসবোধের বিষয়টি উপভোগ করে। কিন্তু মজা করতে গিয়ে এমন কিছু বলা বা করা যাবে না যা অন্যকে উপহাস করে বা ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করে।
দায়িত্ববোধ
মেয়েরা দায়িত্ববান পুরুষ পছন্দ করে। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-পুরুষের দায়িত্ব হচ্ছে নারী সঙ্গীটিকে নিরাপদে রাস্তা পার হতে সাহায্য করা। কখনোই তাকে পেছনে ফেলে নিজে এগিয়ে না যাওয়া। বেড়াতে যাওয়া বা খাবার এমন বিষয়ে তার পছন্দের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা ,গুরুত্ব দেয়া। মনে রাখতে হবে নারীরা গুরুত্ব পেতে ভালোবাসে। তারা সবসময় পুরুষ সঙ্গিটিকে নিজের সর্বোত্তম আশ্রয় ও প্রাপ্তির নিশ্চিত সীমান মনে করে। মেয়েরা তার পুরুষ সঙ্গীর দায়িত্ববোধ নিয়ে সহপাঠী,সমবয়সী ও আত্মীয়দের মাঝে গর্ব করতে ভালবাসে।
প্রশংসা
নারী সঙ্গীর প্রতি মুগ্ধতা দেখাতে হবে। বাইরে যাওয়ার সময় তার সাজের প্রশংসা করতে হবে। নারী সঙ্গীর দেয়া উপহার সানন্দে গ্রহণ করতে হবে। তার রান্নার প্রশংসা করুন। কখনো যদি পছন্দ মতো নাও হয়, কোনো ভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না। মনে রাখতে অনেক আন্তরিকতা নিয়ে কষ্ট করে শুধু পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করার জন্যই মেয়েরা ব্যাস্ত থাকে। তার সাথে দেখা হলে প্রথমেই মিষ্টি হাসি ধরে রাখতে হবে।
শান্ত স্বভাব
অনেক পুরুষের বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা খুব অল্পতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু খুব সহজেই আবার রাগ কমে যায়। পুরুষের কাজ হবে, কিছুটা সময় শান্ত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্তিপূর্ণ রাখা। নারীরাও আজকাল রাগী, আক্রমণাত্বক সঙ্গী পছন্দ করে না। রাগ করার মতো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে নারী সঙ্গীকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে।
সম্মান প্রদর্শন
নারীকে সম্মান করতে হবে। অনেকের মাঝে নারীকে হেয় করে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। তবে নারীও মানুষ সে পুরুষের সমান গুরুত্ব এবং সম্মান পাওয়ার অধীকার রাখে।
ওপরের বিষয়গুলো মেনে চললেই কাঙি্ক্ষত নারীর কাছে এই পুরুষটি অনন্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.