
প্রেমপত্রের ইতিহাস সম্ভবত সভ্যতার মতই প্রাচীন। প্রাচীন গ্রীক, রোমান, চীনা সভ্যতার দলিলে প্রেমপত্র প্রদানের প্রচলনের প্রমান পাওয়া গিয়েছে। তবে সেগুলো খুবই সরল ভাষায় লেখা। মধ্যযুগীয় প্রেমপত্রগুলোতে লেখনীর দক্ষতার ক্রমবিকাশ লক্ষ্য করা যায়। মধ্যযুগে প্রেমপত্র আদান-প্রদানের প্রধান বাহক ছিল পোষ মানানো কবুতর। প্রেমিক-প্রেমিকা কবুতরের পায়ে বেঁধে প্রিয় মানুষটির কাছে মনের কথা কাগজে বন্দি করে পাঠিয়ে দিত।
আধুনিক প্রেমপত্র
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের আগে এই প্রেমপত্রই ছিল প্রেমিক-প্রেমিকাদের যোগাযোগের প্রধান উপায়, বিশেষ করে যুদ্ধের সময়-যখন তাদের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি। ঐ সব সময়ে যোদ্ধারা উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করে থাকতো তাদের প্রিয় মানুষটির পত্রের অপেক্ষায়।
এমনকি এই ইলেক্ট্রনিক যুগেও প্রেমপত্র তার ভূমিকা ঠিকই পালন করে যাচ্ছে। কাগুজে লেখার চেয়ে এখন মানুষ ই-মেইলের মাধ্যমেই বেশি প্রেমপত্র বিনিময় করে থাকে। তা সহজেই বোঝা যাবে প্রেমপত্র লেখার উপদেশমূলক ওয়েবসাইটগুলো দেখলে।
তবে কাগুজে লিখিত প্রেমপত্রের আবেদন এখনও কমেনি। প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া চিঠি পড়ার অনুভূতি সবসময়ই অন্যরকম।
ধরণ ও কাঠামো
প্রেমপত্র লেখার কোন নির্দিষ্ট কাঠামো নেই। একজন যে উপায়ে তার মনের অনুভূতিগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারবে তার সেভাবেই প্রেমপত্র লেখা উচিৎ। সেকারনে প্রেমপত্রের ধরণ বিভিন্ন। ঐতিহাসিক ভাবে সমাদৃত ধরণ হলো কাব্যিক উপায়ে লেখা। উইলিয়াম শেকসপিয়রের সনেটগুলো মাঝেমাঝেই আবেগী পত্রের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
একটি সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সময় প্রেমপত্র ফেরত দাওয়া রীতি প্রচলিত আছে।
ঐতিহাসিক প্রেমপত্র
ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত মানুষই তার প্রিয়জনের কাছে প্রেমপত্র লিখেছেন। তাদের মধ্যে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, লর্ড বাইরন, বেথোভেম, উইনস্টন চার্চিল, ভিক্টর হুগো, জন কিটস[১] –এর প্রেমপত্র দলিল হিসেবে আজও রয়ে গেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.