১৮ না পেরুতেই যৌন অভিজ্ঞতা ৫০ শতাংশ শহুরে তরুণের
ঢাকা: বাংলাদেশে বয়স ১৮ হওয়ার আগেই যৌন অভিজ্ঞতা হচ্ছে ৫০ শতাংশ শহুরে তরুণের। এছাড়া প্রায় ৮০ শতাংশ তরুণ পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে যৌন কর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এদের এক-তৃতীয়াংশ আবার লিপ্ত হচ্ছেন দলগত যৌনকর্মে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের যৌনসঙ্গী হচ্ছেন পেশাদার যৌনকর্মী।
কিন্তু এসব তরুণের অর্ধেকই যৌনকর্মে একদমই নিরোধ ব্যবহার করছেন না। বাকীরাও নিরোধ ব্যবহারে অনিয়মিত। তাই তাদের মধ্যে এইডস ঝুঁকি বাড়ছে।
আইসিডিডিআরবি পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যান এমন এক হাজার তরুণের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
এদিকে এমন অনিরাপদ যৌনকর্মের মাধ্যমে ৫২ শতাংশ এইডস ছড়ায় বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জাতীয় এইডস কর্মসূচি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী যৌন ব্যবসা গড়ে উঠেছে। আর তরুণরাই বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে।
তরুণদের এইডস ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক মো. ওয়াদুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘যৌন আচরণে পরিবর্তন হওয়ার কারণে তরুণের মধ্যে এইডস ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকাসহ শহরাঞ্চলের তরুণদের মধ্যেই এইডস ছড়াচ্ছে বেশি।
তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে আমরা বিশেষ সচেতনামূলক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি। এতে তরুণদের জন্য কাউন্সেলিং থাকবে। এছাড়া পাঠ্য পুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিষয়টি সিলেবাসে নিয়ে আসা হবে।’
এছাড়া সরকার জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতাল যুব বান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া তরুণের প্রায় ৭৯ শতাংশই এইডস সম্পর্কে সচেতন নন। যৌন মিলনের পর যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করলে এইডস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলেও মনে করেন তারা।
যৌনকর্মে লিপ্ত হতে এসব তরুণের ৮০ শতাংশ যাচ্ছেন আবাসিক হোটেলে। আর ২০ শতাংশ অপেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছেন।
আর জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ তরুণ হওয়ায় দেশের বৃহৎ ও নিভর্রশীল এই জনগোষ্ঠী ব্যাপক ঝুঁকিতে মধ্যে আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
জরিপ অনুযায়ী, তরুণদের অধিকাংশ যৌন চাহিদা মেটাতে যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছেন। সব ধরণের যৌন আচরণ করছেন।
গবেষণায় দেখা যায়, এসব তরুণের প্রায় ২০ শতাংশের মধ্যে যৌনবাহিত ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা যায়। তবে এদের মাত্র ১৫ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে যান।
ঢাকার ৯টি আবাসিক হোটেলে আইসিডিডিআরবি পরিচালিত জরিপটিতে আরো দেখা গেছে, তরুণের দুই তৃতীয়াংশ স্কুল ও কলেজ পড়–য়া। তারা যৌনকর্মে প্ররোচিত হন বন্ধু বা বন্ধুস্থানীয় কাউকে দিয়ে। প্রায় ৮০ শতাংশ তরুণ পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে যৌন কর্মে লিপ্ত জন। আবার অনেকে পর্ন সিডি দেখে যৌন কর্মে উৎসাহিত হন। এদের অনেকের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছর।
এছাড়া বিবাহিতরাও যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছেন বলে দেখা গেছে গবেষণা জরিপে

কিন্তু এসব তরুণের অর্ধেকই যৌনকর্মে একদমই নিরোধ ব্যবহার করছেন না। বাকীরাও নিরোধ ব্যবহারে অনিয়মিত। তাই তাদের মধ্যে এইডস ঝুঁকি বাড়ছে।
আইসিডিডিআরবি পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যান এমন এক হাজার তরুণের ওপর এ জরিপ চালানো হয়।
এদিকে এমন অনিরাপদ যৌনকর্মের মাধ্যমে ৫২ শতাংশ এইডস ছড়ায় বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জাতীয় এইডস কর্মসূচি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী যৌন ব্যবসা গড়ে উঠেছে। আর তরুণরাই বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে।
তরুণদের এইডস ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক মো. ওয়াদুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘যৌন আচরণে পরিবর্তন হওয়ার কারণে তরুণের মধ্যে এইডস ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকাসহ শহরাঞ্চলের তরুণদের মধ্যেই এইডস ছড়াচ্ছে বেশি।
তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে আমরা বিশেষ সচেতনামূলক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি। এতে তরুণদের জন্য কাউন্সেলিং থাকবে। এছাড়া পাঠ্য পুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিষয়টি সিলেবাসে নিয়ে আসা হবে।’
এছাড়া সরকার জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতাল যুব বান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া তরুণের প্রায় ৭৯ শতাংশই এইডস সম্পর্কে সচেতন নন। যৌন মিলনের পর যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করলে এইডস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলেও মনে করেন তারা।
যৌনকর্মে লিপ্ত হতে এসব তরুণের ৮০ শতাংশ যাচ্ছেন আবাসিক হোটেলে। আর ২০ শতাংশ অপেশাদার যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
জরিপ অনুযায়ী, তরুণদের অধিকাংশ যৌন চাহিদা মেটাতে যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছেন। সব ধরণের যৌন আচরণ করছেন।
গবেষণায় দেখা যায়, এসব তরুণের প্রায় ২০ শতাংশের মধ্যে যৌনবাহিত ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা যায়। তবে এদের মাত্র ১৫ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে যান।
ঢাকার ৯টি আবাসিক হোটেলে আইসিডিডিআরবি পরিচালিত জরিপটিতে আরো দেখা গেছে, তরুণের দুই তৃতীয়াংশ স্কুল ও কলেজ পড়–য়া। তারা যৌনকর্মে প্ররোচিত হন বন্ধু বা বন্ধুস্থানীয় কাউকে দিয়ে। প্রায় ৮০ শতাংশ তরুণ পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে যৌন কর্মে লিপ্ত জন। আবার অনেকে পর্ন সিডি দেখে যৌন কর্মে উৎসাহিত হন। এদের অনেকের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছর।
এছাড়া বিবাহিতরাও যৌনকর্মীর কাছে যাচ্ছেন বলে দেখা গেছে গবেষণা জরিপে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.