শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে জেনে নিন আপনার চুল কেমন। যদি স্বাভাবিক চুল হয়, তাহলে সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত চুলে অয়েল বেসড শ্যাম্পু এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য ড্রাই হেয়ার শ্যাম্পু বেছে নিন। শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিস্কারের পর কন্ডিশনার লাগান।
চুল তৈলাক্ত হলে ময়েশ্চারাইজার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল শুষ্ক হলে নারিশিং শাইন বা স্মুথ অ্যান্ড সিল্কি কন্ডিশনার বেছে নিন। আর স্বাভাবিক চুলে টোটাল কেয়ার কন্ডিশনার বা অল টাইপ হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু করার আগে
চুলের পুষ্টির জন্য শ্যাম্পু করার আগে চুলের যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
স্বাভাবিক ও শুষ্ক চুল
স্বাভাবিক ও শুষ্ক চুলের জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। প্রথমে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল গরম করে চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পাগড়ির মতো মাথায় পেঁচিয়ে ভাপ দিন ১০ মিনিট। সকালে শ্যাম্পু করলে আগের রাতে তেল দিন। সকালে তোয়ালের ভাপ দিন।
তৈলাক্ত চুল
তৈলাক্ত চুলে তেল দেয়ার দরকার নেই। চুলের যত্নে শ্যাম্পুর আগে আমলা প্যাক ব্যবহার করুন। আমলা প্যাক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়; আবার ঘরে আমলকী গুঁড়া আর টকদই মিশিয়ে তৈরি করুন । মাথার চুলে আধা ঘণ্টা দিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
শ্যাম্পু করার ঠিক পদ্ধতি
প্রথমে একটা পাত্রে শ্যাম্পু নিয়ে তাতে খানিকটা পানি মিশিয়ে নিন। এবার দুই হাতের তালুতে মিশিয়ে তেলের মতো চুলের গোড়ায় এবং সব চুলে ভালো করে লাগান। এক থেকে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর বেশি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরই চুলের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনার লাগান।
প্রথমে হাত দিয়ে চেপে চুলের বাড়তি পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পুর মতো একই পদ্ধতিতে কন্ডিশনার মাইল্ড করে চুলের আগা থেকে ম্যাসাজ করে গোড়ার দিকে উঠান। তবে খেয়াল রাখুন, কন্ডিশনার যেন মাথার ত্বকে না লাগে। এক থেকে দুই মিনিট পর কন্ডিশনার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়া শেষ হয়েছে কি না বোঝার জন্য চুল ধোয়া পানি মগে নিন।
যদি পানি একেবারে স্বচ্ছ হয়, তাহলে বুঝবেন চুল ধোয়া শেষ। এবার তোয়ালে দিয়ে হালকাভাবে চুল মুছুন। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। ড্রায়ারের পরিবর্তে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন