
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গামুটুকপুর ইউনিয়নের পুলের পাড় গ্রামে বুধবারের এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মুখে ছড়িয়ে পড়েছে পুরোনো সেই রহিম-রূপবানের গল্প। এলাকাবাসি জানায়, ওই গ্রামের বুধারু মামুদের ছেলে সেলিম মিয়া (১৫) তিন বছর ধরে কফিল উদ্দীনের বাড়িতে যাতায়াত করত। সে সুবাদে কফিল উদ্ধীনের স্ত্রী চার সন্তানের জননী সাফিতনের সাথে সেলিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী সন্তান ফেলে বিয়ের দাবি নিয়ে সাফিতন সেলিমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। প্রেমিকার এমন অবস্থানে প্রেমিক সেলিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে গৃহবধু সাফিত বলেন, ‘আমি সেলিমকে ভালো বেসেছি। এখন বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি।’ তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। ওই ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সামছুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকাল থেকে ওই গৃহবধুকে এক নজর দেখতে মানুষের ঢল নামে সেলিমের বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন বলাবলি করছে, ‘রূপকথার রহিম-রূপবানের গল্প শুনেছি। এবার নিজ চোখে এ যুগের রহিম-রূপবানকে দেখতে এসছি।’ এ ব্যাপারে পাঙ্গা মুটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ভূট্ট বলেন, ‘ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলেও অন্য কোন ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন