বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অধিক সমালোচিত নায়িকা মুনমুনের কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়? এই মুনমুনের দেখা আর নেই। তাকে খুঁজে মেলা ভার। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অস্থির সময়ের সবচেয়ে সমালোচিত নায়িকা মুনমুনের নতুন খবর হলো তিনি এখন প্রচন্ড ধার্মিক বনে গেছেন। উল্লেখ্য ২০০৭ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলে এফডিসির অন্যান্য অশ্লীল নয়িকাদের সাথে মুনমুনও আত্মগোপন করেন।একসময়ে খোলামেলা হয়ে পর্দা কাঁপানো নায়িকা মুনমুন এখন হিজাব ছাড়া বাইরে বের হননা। নিয়মিত নামাজ পড়ছেন, এমনকি পরপুরুষদেও সামনেও কম যান।
তার কাছের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত তিনি তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। শিল্পী হয়েও যখন অশ্লীলতার দায়ে আর শিল্পী সত্ত্বাকে ব্যবহার করতে পারেননি তখন বাস্তবতাকে মেনেই নিজেকে বদলাতে শুরু করেন ‘নিষিদ্ধ নারী’ খ্যাত এই নায়িকা। রঙিন চলচ্চিত্র ছেড়ে ধার্মিক হওয়াকেই পাথেয় করে নেন।
জানা গেছে, ২০০০ সালের পর বাংলা চলচ্চিত্রে মুনমুনের আবির্ভাব ঘটে। বলা যায় মুনমুনের হাত ধরেই বাংলা চলচ্চিত্রে ভর করে অশ্লীলতা। একের পর এক ছবিতে তার খোলামেলা উপস্থিতি দর্শকদের বিব্রত করতো। মুনমুনকে আদর্শ মেনে তখন একই পথে হাটতে শুরু করেন ময়ূরী, ঝুমকা, পলি, রাকা থেকে শুরু করে এক ঝাঁক অভিনেত্রী।
একপর্যায়ে তাকে বাংলা চলচ্চিত্র থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

জানা গেছে, খুব বেশি দরকার ছাড়া বাইরে বের হননা। আর বাইরে বের হলেও হিজাব ব্যাবহার করেন। অভিনয় থেকেও একেবারে দূরে সরে গেছেন।
এরপর এফডিসির চলচ্চিত্রে আর তিনি সেভাবে অশ্লীল দাপট দেখিয়ে কাজ করতে পারেননি। জানা যায়, এরপর তিনি যাত্রাপালায় অশ্লীল নাচেও অংশ নিয়েছিলেন। গত মাসে কাকরাইলের ফিল্ম পাড়ায় রাজমনি সিনেমা হলের পাশে হঠাৎই চোখে পড়ে একদিন তার ছবির ব্যানারে বড় করে লেখা কুমারী মা।
বাবুল রেজার পরিচালনায় চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল গত ৪ঠা অক্টোবর। চলচ্চিত্রটিতে মুনমুন ছাড়াও অভিনয় করেছে আসিফ ইকবাল, নীরব, টেলিসামাদ, রিনা খান।
তার ছবি দিয়ে বড় করে ব্যানার করা হলেও তার চরিত্রটি বড় বা উল্লেখযোগ্য ছিল নাএই ছবিতে খলনায়ক হিসেবে ছিলেন নীরব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন