GuidePedia

0
স্ক্যান্ডাল বা কেলেংকারি। এই শব্দটির সাথে বিভিন্ন দেশের শোবিজ তারকাদের যুক্ত হওয়ার খবর আসে প্রায়শই। এহেন খবর ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসের মতো। বিশেষ করে এই আলট্রা-ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে।সংবাদমূল্যও রয়েছে এমন খবরের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শুধু শোবিজ তারকারই নয়। স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে ক্যারিয়ারে ধস নেমেছে বিশ্বের বহু বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদেরও। তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রভাব কোন নারীর সাথে স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে নিমিষেই তা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এ ধরনের কেলেঙ্কারি নতুন কোন ঘটনা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট, জন এফ কেনেডি থেকে শুরু করে ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সিলভিও বারলুসকোনি, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারসহ অনেকেই রয়েছেন এ তালিকায়। সম্প্রতি ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির স্ক্যান্ডাল প্রকাশের সাথে সাথে অন্যদের বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে।

১. হিনা রাব্বানি খার: পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। গেল বছর পাকিস্তানের এই মন্ত্রীকে নিয়ে এমনই কেলেঙ্কারির খবরে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়ালের সাথে বিবাহ বহির্ভূত পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে ছিল নানারকম গুঞ্জন। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো হিনাকে নিয়ে ব্যাপক মুখর ছিল।

খবরে বলা হয়েছিল, বিলাওয়াল-হিনা দুজনে ঘর বাঁধতে চান সুদূর সুইজারল্যান্ডে। তবে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ছেলের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ান। সরে আসতে বলেন ছেলেকে। প্রেমিক বিলাওয়াল বাবাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, এমন কথা বললে দলের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন। এসবই ছিল মিডিয়ার খবর। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই দেখা যায়নি।

২. সিলভিও বারলুসকোনি: ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক পতিতার সাথে তার যৌন সম্পর্কের কথা সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে দু বছর বিচার চলার পর বারলুসকোনিকে সেদেশের আদালত অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করে। আদালত তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

৩. দমিনিক স্ত্রস কান: আইএমএফের সাবেক প্রধান দমিনিক স্ত্রস কান। তার বিরুদ্ধে এক নারী হোটেল কর্মীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ডিএনএ পরীক্ষায় নিউইয়র্কের এক হোটেল কর্মীর পোশাক থেকে সংগৃহীত আলামতের সঙ্গে স্ত্রস কানের দেওয়া নমুনা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

৪. বিল ক্লিনটন: বিল ক্লিনটন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেম লিলা নিয়ে কম মাতামাতি হয়নি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। মনিকা লিওনস্কির সাথে সম্পর্কের কারণে হোয়াইট হাউসের প্রায় সবই খোয়াতে বসেছিল বিল ক্লিনটন। ১৯৯৫ এর নভেম্বরে একবার এবং ১৯৯৭ সালের মার্চে তার বিরুদ্ধে মনিকার সাথে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পরে লিওনস্কি যথার্থ সাক্ষ্য প্রমাণ দিলে ক্লিনটন যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করে।

৫. জন এফ কেনেডি: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। ব্যতিক্রম সৌন্দের্য্যের পুরুষ কেনেডির বিরুদ্ধে মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী গায়ক ম্যারিলিন মনরোর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ছিল। কেনেডি সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করলে মনরো পুরাপুরি ভেঙ্গে পড়েছিল। এরপর মনরোর রহস্যময় মৃত্যুর জন্য কেনেডিকে দায়ী বলে ধারণা করা হয়।

৬. মোশে কেতশ্যাভ: সাবেক ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট মোশে কেতশ্যাভ। ২০০৬ সালে ক্যাতশ্যাভ এক নারী কর্মচারীকে যৌন নির্যাতনের কারণে অভিযুক্ত হয়েছিল।

পরে তদন্তে প্রমাণিত হয়, কেতস্যাভ ওই নারীকে শুধু হয়রানিই নয় ধর্ষণও করে। এমনকি আরো অনেক নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে সাবেক এই ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

এ ঘটনায় তাকে সেসময় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলা হলেও তিনি পদত্যাগের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।

৭. লেরি ক্রেগ: মার্কিন সিনেটর লেরি ক্রেগকে ২০০৭ সালে বিমান বন্দর থেকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিমানের বাথরুমে যৌনাচারের অভিযোগ আনা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top