GuidePedia

0
ঘরের জানালায় বসে মুষলধারে বৃষ্টি আর দাওয়ায় থই থই জল দেখতে আমরা অভ্যস্ত সবাই। কিন্তু এমন যদি হয়, আকাশ থেকে মুষলধারে জল নয় বরং বৃষ্টির মতো পড়তে শুরু করে হীরক খণ্ড তাহলে নিশ্চয়ই অবাক হওয়ারই কথা।


কিন্তু সেটাই ঘটছে সুদূর মহাশূন্যের গ্যাসীয় দানব নামে পরিচিত বৃহস্পতি ও শনি গ্রহে। কারণ, কিছু দিন ধরেই শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি ও বৃহস্পতিতে মাঝে মাঝেই উজ্জ্বল আভা দেখা যাচ্ছে। আর এর কারণ, হিসেবে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির মহাকাশ বিষয়ক দপ্তরের বার্ষিক সভায় দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, হীরা বৃষ্টির কারণেই নাকি দুই গ্রহের হঠাৎ উজ্জ্বল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।


স্থানীয় একটি পত্রিকা দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যালিফোর্নিয়া স্পেশালিটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক মোনা ডেলিটস্কি বলেন, ‘আমরা মানুষকে এটা বোঝাতে চাইছি না যে, আমরা টাইটানিক সাইজের হীরকখণ্ড আবিষ্কার করেছি। বরং এটাই বোঝাতে চাইছি শনি ও বুধ গ্রহে সম্ভবত হীরা বৃষ্টির মতোই কিছু হচ্ছে।’


গবেষকরা তাদের গবেষণা পত্রে বলেছেন, ‘প্রচণ্ড চাপের ফলে গ্রহ দু’টির বায়ুমণ্ডলে কার্বন হীরায় রূপ নিতে পারে। গ্রহ দু’টির বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে মিথেন কণার সঙ্গে মুক্ত অবস্থায় আছে কার্বনও। যা হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের সংস্পর্শে এসে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে হীরায় রূপান্তরিত হয়ে ঝরে পড়ে।


বিজ্ঞানীদের এই তত্ত্ব অনুযায়ী, এই গ্রহ দু’টির বায়ুমণ্ডলে শুধু মিথেন নয় সেইসঙ্গে রয়েছে প্রচণ্ড চাপ ও তাপ। যাতে কার্বনও হীরায় রূপান্তরিত হতে পারে। যেই তাপ প্রায় ৩ হাজার ৬৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের সমান।


বিজ্ঞানীরা অবশ্য অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন গ্যাসীয় গ্রহে হীরা বৃষ্টি এমনকি হীরার সমুদ্রের ধারণা করেছিলেন। বিজ্ঞানীদের অনেকেরই ধারণা ছিল নেপচুন ও ইউরেনাসে এই ধরনের হীরার অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের ব্যপারে এবারই প্রথম এই ধারণা করা হলো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top