
‘কিন্তু নিজেকে আমার ভিন্ন কিছু মনে হতো সবসময়’-বলেন বর্তমান লিন্ডসে। জিমে গিয়ে ওয়েটলিফটিং করেছেন নিয়মিত। নিজের অনুভূতি ঢেকে রাখার জন্য বিশাল মোটরবাইক নিয়ে যখন-তখন হাইওয়ে ধরে বেরিয়ে পড়তেন হাইকিংয়ে। ডাকাবুকো ভাবমূর্তির আকর্ষণে ডজন ডজন মেয়ে তার পিছু নিলেও বরাবরই তাদের নিবৃত্ত করেছেন সযতনে। সম্পর্কটাকে সীমিত রেখেছেন হালফ্যাশন আর যত মেয়েলি আলাপের মধ্যে।
কুড়ি বছরে পা দেওয়ার আগেই নিজের ভেতরে পরিবর্তন অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে চিঠি লিখে বাবা-মাকে জানালেন নিজের ভেতরে ঘটতে থাকা আলোড়নের কথা। ওরাও তাকে সাহস দিলেন। নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দিলেন। লিন্ডসে তখন থেকেই ছেড়ে দিলেন ছেলেদের জামাকাপড়। মেয়েদের পোশাক-আশাকে ভর্তি হয়ে গেল তার ওয়ারড্রোব। পরবর্তী সময়ে চিকিত্সকের পরামর্শে পূর্ণাঙ্গ নারীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নিতে শুরু করলেন এসট্রোজেন। এখন তার বুকের মাপ আটত্রিশ। বিশেষ ধরনের ওয়েবসাইটে অর্ডার দিয়ে নিজের ১৬ সাইজের পায়ের মাপের হাইহিল জুতো কিনতে হয় তাকে।
গত দুই বছর ধরে আইনত নারী হিসেবে স্বীকৃত লিন্ডসে নিজের অনুভূতির বিষয়ে জানান, সব সময় অনুভব করেছি, চিরকাল একজন নারীই হতে চেয়েছিলাম আমি। ডেইলি মেইল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন