GuidePedia

0
worldপৃথিবীবাসীর জন্য দুঃসংবাদ!
গাদা গাদা গবেষণা প্রমাণ করেছে আর্কটিকের উষ্ণায়ন বাড়ছে। বিশাল বরফরাশি ক্রমেই গলে গলে যাচ্ছে। কিন্তু সেসব গবেষণার কোনোটিই হয়তো নতুন গবেষণালব্দ তথ্যের মতো ভয়াবহ ছিলো না।নতুন গবেষণা দেখাচ্ছে গত শতাব্দীতে গ্রীস্মে কানাডীয় আর্কটিকের গড় উষ্ণতার মাত্রা গত ৪৪ হাজার বছরেও ছিলো না। গবেষকরা এমনও বলছেন এর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার বছরও হতে পারে।

কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গিফোর্ড মিলারের কথায়, আর্কটিক কানাডার এই উষ্ণতার বিষয়টিই এখন সবচেয়ে উদ্বেগের।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চার লেটারস জার্নালে মিলার ও তার সহকর্মীদের এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে আর কোনো গবেষণা আর্কটিককে এতটা উষ্ণ দেখায়নি। চলমান ভুতাত্ত্বিক যুগ হোলোসিনের গোড়ার দিকেও আর্কটিক এতখানি উষ্ণ ছিলো না। ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে শুরু হয় এই হোলোসিন যুগ।

মিলার ও তার সহকর্মীরা আর্কটিকের বরফ তুলে এনে তার ওপরে সৃষ্ট গ্যাস বুদবুদ গুলো থেকেই এই তাপমাত্রা মেপেছেন। এবং তাদের বিশ্লেষণ বলছে গত ৪৪ হাজার বছরে যা ১ লাখ ২০ হাজার বছর পর্যন্তও বৃদ্ধি হতে পারে, আর্কটিকের বরফে এতটা উষ্ণতা ছিলো না।

গত এক শতাব্দী ধরে আর্কটিকের উষ্ণতা বাড়ছে। তবে ১৯৭০ এর দশক থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে এর পরিমান। গিফোর্ড মিলারের মতে, গত ২০ বছর ধরে উষ্ণতার যে মাত্রা গবেষণা ধরা পড়ছে তা রীতিমতো বিষ্ময়কর।

তিনি বলেন, ব্যাফিন আয়ল্যান্ডের গোটাটাই গলে যাচ্ছে এবং আমাদের আশঙ্কা বরফচুড়াগুলোর কোনোটিই আর টিকে থাকবে না। এই উষ্ণতা যদি আর নাও বাড়ে তারপরেও আর্কটিকের এমন পরিণতি অনিবার্য, বলেন মিলার। আর এসব পৃথিবীবাসীর জন্য মোটেই সুখকর কিছু নয়, মত তার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top