GuidePedia

0
শুরু করি _ _ উলটা দিক থেকে
জেনে নিন পৃথিবীর ভয়ানক ৭ মহিলা!

নাম্বার ৭ : বিভারলি এলিট
ভদ্রমহিলার জন্ম ১৯৬৮ সালে যিনি ব্রিটেনের সব চেয়ে পরিচিত সিরিয়াল কিলারদের মধ্যে একজন ছিলেন। বিভারলি একজন নার্স ছিলো যে কিনা ৪ টা শিশুকে মার্ডার করেছিলো এবং ৫ শিশুকে ভয়াবহভাবে আহত করেছিলো। এছাড়াও সে ১৩ টি শিশুকে ৫৮ দিন ধরে অত্যাচার করেছিলো ধরা খাওয়ার আগ পর্যন্ত। সে যেহেতু নার্স ছিলো তাই এই কাজটা সহজেই করতে পারতো তবে ঠিক কি কারনে এভাবে শিশুদের খুন করতো তা কখনোই বলেনি সে! আজব না? যাক সেই কারনে সে পৃথিবীর সাত নাম্বার ভয়ানক মহিলা। তবে যা মনে হয় তার মেন্টাল ডিসঅর্ডার ছিলো।

নাম্বার ৬ : বেলে গুনেস
ভদ্রমহিলা ১৮৫৯ সালে আমেরিকায় জন্ম নেয় যে কিনা ৬ ফুট উঁচু ও প্রায় ৯১ কেজি ওজনের ছিলো। সে তার দুই স্বামী/বয়ফ্রেন্ড ও সন্তানদের এবং আরো প্রায় ২০ ব্যক্তিকে খুন করে। তবে কারো কার মতে তিনি প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে খুন করে। খুব সম্ভবত তার লাইফ ইনস্যুরেন্স ব্যবসা ছিলো যেখানে তার ক্লায়েন্ট যারা ছিলো তাদেরকে খুন করা ও তাদের টাকা ও সম্পদ নেওয়াটাই তার ইনকাম ছিলো। সো, পুরা ব্যপারটা হয়েছে লোভ থেকে। লোভে পাপ( খুন ), পাপে মৃত্যু!


নাম্বার ৫ : ম্যারি এন কটন
ভদ্রমহিলা ১৮৩২ সালে জন্মগ্রহন করেন। সে তার দুই স্বামী, একটা বয়ফ্রেন্ড,একটা ফ্রেন্ড, ১২ টা সন্তানসহ প্রায় ২১ জনকে খুন করে আর্সেনিক বিষ খাইয়ে।
পরে ব্যপারটা ধরা পড়ে গেলে ১৮৭৩ সালে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়ছিলো।


নাম্বার ৪ : ইস কচ
ভদ্রমহিলা ১৯০৬ সালে জন্মগহরন করেন। সে ছিল বুচেনওয়ার্ল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের সুপারভাইজার। সেখানে বন্দীদের যার শরীরে ট্যাটু আঁকা থাকত তাদের আর যাদের চামড়া সুন্দর তাদের আলাদা করে রাখত। তারপর যাদের শরীরে ট্যাটু ছিল তাদের খুন করে ট্যাটুটি চামড়া সহ কেটে সংরক্ষণ করত, সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও সে সংগ্রহ করত। তবে তার সবথেকে প্রিয় শখ ছিল সুন্দর চামড়াওয়ালা বন্দীদের হত্যা করে তাদের শরীরের চামড়া দিয়ে কুশন কভার, সাইড ল্যম্প, বালিশের কভার সহ অনন্যা জিনিস বানানো। ১৯৪৭ সালের ৩০শে জুন তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ১লা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আহারে…


নাম্বার ৩ : ইরমা গ্রেস


ইরমা গ্রেস

ইরমা গ্রেস
ভদ্রমহিলা ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহন করেন।
সে  হিটলারের রাভেন্সব্রুক ক্যাম্পের সুপারভাইজার ছিল। এরপর বদলী হয়ে আসে আউসুটয ক্যম্পে। সেখনে সে দায়িত্ব পায় ৩০,০০০ বন্দী ইহুদী নারীর। ইরমার কাজ ছিল তার পোষা কুকুর দিয়ে নারী হত্যা,বিকৃত যৌনাচার, লাইন ধরে নারিদের দাড় করিয়ে গুলি প্রাকটিস, কথা না শুনলে গ্যাস চেম্বারে প্রেরণ। সে  “Bitch of Belsen” নামে ব্যপক পরিচিতি পায় তার এই রকম হত্যাজজ্ঞের জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে গ্রেপ্তার করা হয় ও ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আহারে…


নাম্বার ২ :  ক্যাথরিন নাইট


ক্যাথরীন নাইট
ক্যাথরীন নাইট

ভদ্রমহিলা ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহন করেন।
সে হল প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নারী যাকে প্যারল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় যেহুতু সেখানে তখনকার দিনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিলোনা। ক্যাথরিন পারিবারিক দন্দে প্রথম স্বামীর সব দাঁত উপরে ফেলে দেয়। একই কারনে তার দ্বিতীয় স্বামীর সামনে তার আট সপ্তাহ বয়সী একটি কুকুরের গলা কেটে নেয়। এরপর সে এক ব্যক্তির সাথে গোপন সম্পর্ক করে এবং একদিন ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিতে ৩৭ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপর ক্যাথরিন ওই ব্যক্তির মৃতদেহের চামড়া ছাড়িয়ে তা ঝুলিয়ে রাখে নিজের বেডরুমের দরজার  হুকের সাথে। এছাড়াও  মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে সুপ রান্না করে বাচ্চাদের জন্য রেখে বাইরে চলে যান তিনি। কিন্তু বাচ্চারা বাড়ী ফেরার আগেই পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।



নাম্বার ১ : এলিজাবেথ বাথোরী

elizabeth-bathory-tm

ভদ্রমহিলা ১৫৬০ সালে জন্ম গ্রহন করেন।
এই এলিযাবেথকে পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিতি পাওয়া কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার বলার হয়। বিয়ের পর এলিযাবেথ এর স্বামী ফেরেন্স নাডাসডি হাঙ্গেরীর সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যুদ্ধে চলে যায়। ভদ্রমহিলার স্বামী চলে যাওয়ার পর পরিবারের ব্যবসাসহ সবকিছু দেখাশোনা করতেন তিনি। অত্যন্ত চড়ে বেতন দিয়ে বাড়িয়ে কুমারী মেয়েদের চাকরানী হিসেবে রাখতেন তিনি। কিন্তু মজার ব্যপার হল, যেই বাড়ির ভেতরে যায় আর ফিরে আসেনা। পরে জানা যায়, এলিযাবেথ নিজের ত্বক ভালো রাখার জন্য কুমারী মেয়েদের রক্ত দিয়ে স্নান মানে গোসল করতেন। রক্ত দিয়ে গোসল করার আগে মেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হত এবং মেয়েদের চিৎকার তিনি উপভোগ করতেন। এভাবে এই খেলা চলে ২৫ বছর। পরে রাজা মাথিয়াস ব্যপারটা জানতে পারেন লোকমুখে এবং মৃত, আধমরা  মেয়ে উদ্ধার হয় এলিজাবেথ এর বাসা থেকে। জীবিতদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চত হয়। এলিযাবেথ প্রায় ৬৪০ জন কুমারীকে নিয়ের ত্বক ভালো রাখা ও আন্দনের জন্য খুন করেন। তবে চার বছর জেলে থাকার পর্যায়ে ভদ্রমহিলা মারা যায়।

আর যারা এই রকম  মজার মজার ব্যপার ব্লগে শেয়ার করতে চাও, তারা 
এখানে যাও

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top