GuidePedia

0
  ইতোমধ্যে ছয়টি প্রতারণা মামলার আসামি হয়েছেন স্বামী রেজাউল করিম খান মিলন। গ্রেপ্তারও হয়েছেন। আছেন হাজতবাসে। কিন্তু তার পাশে নেই স্ত্রী ও চলচ্চিত্র নায়িকা ময়ূরী।

গত সোমবার ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খান মিলনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিলনের বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার গাপসারা ইউনিয়নে। তার বাবার নাম আব্দুল আলিম। মিলনের বাবা রাজনৈতিক জীবনে বিএনপি করতেন। গাপসারা ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

মিলন প্রথমদিকে কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতা বা কর্মী ছিলেন না। তিনি গাজীপুরে ঝুট ব্যবসা করতেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। এ সময় তিনি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ময়ূরীকে বিয়ে করেন। স্ত্রীর নামে রাজধানীর উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটও কিনে দিয়েছিলেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। এছাড়া বিয়েতে মোহরানা হিসেবে ১০ লাখ টাকাও ঠিক করা হয়েছিল।

২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে প্রচারণার জন্য তিনি স্ত্রী ময়ূরীকে নিয়ে আসেন। নির্বাচনে জয়ের তিন মাস পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের হাতে সোনার নৌকা তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কয়েকমাস পরেই ময়ূরীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তার ঝুট ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর মিলন বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পড়েন। তার নামে ছয়টি প্রতারণার মামলাসহ থানায় মোট আটটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ঢাকায় তিনটি, টাঙ্গাইলে চারটি ও পাবনায় একটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে চারটিতে তার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। বাকি চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সাজা হওয়ার পর থেকেই মিলন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অনেক চেষ্টা করে। অবশেষে গত সোমবার গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ উপজেলার রাউৎবাড়ি গ্রামের মালেকের বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top