GuidePedia

0
কিছুটা বিতর্কের মধ্যেই পড়ে গেছেন লিওনেল মেসি। আয়কর ফাঁকির অভিযোগে স্প্যানিশ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এরই মধ্যে আর্জেন্টাইন তারকার ভাবমূর্তিতে কালি পড়ে গেছে স্পেন থেকে প্রকাশিত এক বইয়ের মাধ্যমে।‘এল মিস্তোরিয়ো ডি মেসি’ (ইংরেজিতে মিস্ট্রি অব মেসি) নামের ওই বইয়ে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা থেকে সুইডিশ তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের বিদায়ে নাকি মুখ্য ভূমিকা ছিল মেসির। আর্জেন্টাইন তারকাই নাকি ‘ষড়যন্ত্রের জাল বুনে’ ইব্রাহিমোভিচের মন বিষিয়ে তুলেছিলেন। পরিণতিতে বার্সা ছেড়ে চলে যান এই তারকা। কিছুদিন আগে স্প্যানিশ গণমাধ্যমে একটা খবর বেরিয়েছিল, মেসি নাকি ড্রেসিংরুমে জুনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে ‘স্বেচ্ছাচারী’ আচরণ করেন।

মিস্তোরিয়ো ডি মেসিতে ইব্রা-মেসির সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০০৯ মৌসুমে ইব্রাহিমোভিচ বার্সায় আসার পর নাকি কোচ গার্দিওলা মেসির চেয়ে সুইডিশ তারকার ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন। প্রথম একাদশে তিনি ইব্রাহিমোভিচকেই বেশি রাখতেন। এমন একটা পরিস্থিতিতে মেসি একদিন নিজের মোবাইল দিয়ে গার্দিওলাকে খুদেবার্তা পাঠান। বার্তায় লেখা ছিল, ‘পেপ, একটা ব্যাপার বুঝতে পারছি, ইব্রা আসার পর বার্সায় মনে হচ্ছে আমার আর বিশেষ দরকার নেই।’ মেসির খুদেবার্তায় বেশ বিচলিত হয়ে পড়েন বার্সার সাবেক কোচ।

দোটানায় পড়ে তিনি ইব্রাহিমোভিচকে একাদশের বাইরে ঠেলা শুরু করেন। ব্যাপারটি বুঝতে পেরে ইব্রাহিমোভিচও অবাক হয়ে যান। একদিন ড্রেসিংরুমে তিনি গার্দিওলার সঙ্গে খুব বাজে আচরণও করেন। একটি ম্যাচের আগে ব্রিফিং করার সময় ইব্রাহিমোভিচ বলে বসেন, ‘দেখুন, আমি একজন ফরোয়ার্ড। সুইডিশ জাতীয় দলে খেলি। আমি জানি কীভাবে খেলতে হয়। আমার পরামর্শের কোনো প্রয়োজন নেই।’ এ ঘটনায় অবশ্য বিচলিত না হয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন গার্দিওলা।

ঘটনার পর কোচের গুডবুকের বাইরে চলে যান ইব্রাহিমোভিচ। ডাগ আউটই হয় তাঁর ঠিকানা। মৌসুম শেষে তিনি যেন বার্সেলোনা ছেড়ে বাঁচেন।

বইয়ে প্রকাশিত তথ্যের ব্যাপারে অবশ্য বার্সেলোনা কিংবা মেসির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বার্সা আপাতত ব্যস্ত মেসির চোট নিয়ে। আলমেইরার বিপক্ষে হাঁটুর চোট যে আবার মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে মেসিকে! সূত্র: ওয়েবসাইট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top