GuidePedia

0
দাঁতের সৌন্দর্য যেই ৬টি খাবার নষ্ট করে
সুন্দর ঝকঝকে মুক্তার মতো দাঁত কে না চায় বলুন? হাসিতে মুক্তা ঝরাতে হলে চাই একরাশি ঝকঝকে সাদা দাঁত। আর এই ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে হলে নির্দিষ্ট নিয়মে দাতের যত্ন দরকার। তাছাড়াও কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে দাঁতে দাগ পড়ে যায় এবং দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। এই খাবার গুলো এড়িয়ে চললে মুক্তার মত সাদা দাঁত পাওয়া খুব সহজ। আসুন জেনে নেয়া যাক দাতে দাগ সৃষ্টিকারী খাবারগুলোর তালিকা।
রঙিন ক্যান্ডি ও আইসক্রিম
দোকানে নানান রঙের ক্যান্ডি, লজেন্স ও আইসক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষনীয় হলেও দাঁতের জন্য মোটেই ভালো নয়। বিশেষ করে যে খাবারগুলো খেলে জিভের রঙ বদলিয়ে যায় সেগুলো খুবই ক্ষতিকর এবং এগুলো দাঁতের সাদা ভাব কমিয়ে ফেলে।

চা
চা একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। কিন্তু দাঁত ঝকঝকে সাদা রাখতে চাইলে চা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। ডেন্টিস্টদের মতে দাঁতে দাগ ফেলার ক্ষেত্রে কফির চাইতেও বেশি চা ক্ষতিকর হচ্ছে চা। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে সাধারণ চায়ের পাশাপাশি ভেষজ চায়েও দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান আছে এবং এগুলো দাঁতে দাগ সৃষ্টি করে।

সস
সস ছাড়া কি ভাজাপোড়া খাবার জমে নাকি? কিন্তু গাঢ় রঙের সস যেমন সয়াসস, টমেটো সস, চিলি সস, কারি সস ইত্যাদিতে দাঁতে দাগ সৃষ্টিকারী উপাদানের আধিক্য আছে। দাঁত ঝকঝকে সাদা রাখতে চাইলে গাঢ় রঙের সস এড়িয়ে সাদা ধরণের সস খান অথবা গাঢ় রঙের সস খাওয়ার পর পর ব্রাশ দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন।

রঙিন ফল
কিছু ফল আছে যেগুলো দাঁতে দাগ ফেলে। জাম ও কালো আঙ্গুর তার মধ্যে অন্যতম। জাম খেলে দাঁতে জামের রঙের দাগ বসে যায়। নিয়মিত জাম খেলে এই দাম মোটামুটি স্থায়ী হয়ে যায়। তাই এইধরনের ফল খাওয়ার পর সাথে সাথেই দাঁত মেজে নিন।
কোমল পানীয়
যে কোনো ধরণের কোমল পানীয় দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি রঙ ছাড়া কোমল পানীয় যেমন সেভেন আপ, স্প্রাইট ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমানে এসিড থাকে যেগুলো দাঁতে দাগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।

ওয়াইন
যে খাবারগুলো সাদা টেবিল ক্লথে দাগ ফেলে, সেই খাবার গুলো দাঁতেও দাগ ফেলে দেয়। এসিডিক পানীয় লাল ওয়াইন খেলে তাৎক্ষনিক ভাবে দাঁতে দাগ পরে যায়। এমনকি সাদা ওয়াইন খেলেও দাঁতে দাগ পড়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top