GuidePedia

0
সুখী দাম্পত্য জীবন মানে নারী ও পুরুষের সার্বিক উন্নতির গ্রাফটা ওপরের দিকে উঠতে থাকা। স্বামী ও স্ত্রী দু’ জনই পারিবারিক বা কর্মজীবনে সাফল্যের সে স্বাদটা উপভোগ করেন। অন্যদিকে, এর উল্টোটা ঘটে যদি দাম্পত্য জীবনে নিত্য কলহ, মতের অমিল, অশান্তি লেগে থাকে। এতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই তাদের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেন। কখন বুঝবেন আপনার সুখী দাম্পত্য-জীবনে সমস্যা আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরেছে? কখন বুঝবেন কোন একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার সময় উপস্থিত? যে লক্ষণগুলো দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটলের নির্দেশ দেয়, সেগুলো হচ্ছে:
sad photo
১) খুঁড়ে খুঁড়ে অতীত বের করে আনা। কটুক্তি, অশোভন আচরণ, অশালীন ভাষা ব্যবহার বা গালি-গালাজ করা, শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের খাটো করে দেখানোর চেষ্টা। দু’ জনের ক্ষেত্রেই ঘটনাটি সমানভাবে ঘটতে পারে।
২) স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একেবারে তুচ্ছ কোন বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়তো গড়াচ্ছে কথা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত। নিজেদের এড়িয়ে চলার প্রবণতা, বাড়িতে ফিরতে ইচ্ছা না করা। সামনে কোন বিকল্প সমাধান খুঁজে না পাওয়া।
৩) কোন সিদ্ধান্তই আর যৌথভাবে নেয়া হচ্ছে না। আপনার ব্যাখ্যার স্বপক্ষে কোন যুক্তি থাকছে না। সবার আগে স্থান পাচ্ছে ইগো বা অহংবোধ।
৪) ঈর্ষা ঢুকে পড়ছে সম্পর্কের মধ্যে। নিজেদের মধ্যে এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতার মনোভাব। নিজের ভুলগুলো চেপে গিয়ে অপরের (স্বামী বা স্ত্রী) ত্রুটিগুলোকে সামনে আনা। অন্যের সামনে একজন আরেকজনকে হেয় করে দেখানোর চেষ্টা।
৫) সবসময় শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবতে থাকা। স্ত্রী বা স্বামী হয়তো নিজেকে বঞ্চিত বা উপেক্ষিত মনে করছেন। নিজেকে আপনার পরিবারের কোন অংশ বলেই মনে হচ্ছে না। ‘আমাদের’ নয় বরং ‘আমার পরিবার’ বিষয়টাই মুখ্য হয়ে উঠেছে।
৬) স্বামী কিংবা স্ত্রী হয়তো গোপনে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। প্রতারণার এই পর্যায়ে দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে সবচেয়ে অসহনীয়। এ ধরনের ভুল ক্ষমার অযোগ্য ও এর অর্থ দাম্পত্য জীবনের অবসান।
৭) স্বামী বা স্ত্রী কেউই আর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ অনুভব করছেন না। নিজেদের মধ্যে কোন ভাবাবেগ কাজ করছে না। দাম্পত্য সম্পর্কটা ক্রমেই যান্ত্রিক হয়ে উঠছে।
৮) সমস্যাগুলো থেকে দু’ জনই পালিয়ে বেড়ানোর পথ খুজছেন। একসঙ্গে বসে কোন সমাধান বের করার চেষ্টা তো বহু দূরের কথা।
৯) নিজেদের মধ্যে কোন যোগাযোগ না হওয়া। হয়তো স্ত্রী অভিমান করে চলে গেছেন বাপের বাড়ি। এর মধ্যে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও, কেউই কোন যোগাযোগের চেষ্টা করছেন না। হয়তো একই ছাদের নিচে থাকছেন। অথচ জানতে চাচ্ছেন না স্বামী বা স্ত্রী কেমন আছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top