GuidePedia

0
প্রযুক্তি পণ্য নির্মাণের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান টোসিবা। স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে এমন রোবট যা কিনা মানুষের প্রেমে পড়বে অনায়াসে! পৃথিবীর প্রথম সারির এই প্রতিষ্ঠানের একটি স্বতন্ত্র ইন্সটিটিউট
হল একিমো রবোটিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট।
এই ইন্সটিটিউট রীতিমত ভয় জাগানো এই রোবট তৈরি করছে। তারা তাদের এই রোবটের নাম রেখেছে কেনজি (Kenji)। এই কেঞ্জি নামের রোবটটির মাঝে মানুষের আবেগ অনুভূতি প্রোগ্রাম করে দেয়া হয়েছে। প্রেমের যে লজিক ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে তা দিয়ে দিব্যি একজনের প্রেমে পড়া যাবে।
এবার টোসিবার কথায়। এই রোবটের প্রজেক্টের প্রধান পরীক্ষক ড. আকিতো তাকাহাসি বলেন – প্রথম দিকে আমরা ভয় মিশ্রিত ভাবে অবাক হয়েছিলাম যে একটা প্রাণহীন যন্ত্রের মাঝে প্রাণীদের অনুভূতি স্থান পাচ্ছে। এ যেন একটা যন্ত্রের মাঝে মানুষের আত্মা চলে আসা।
এই রোবট কেনজি অনেক গুলো রোবটের একটা প্রজেক্টের অংশ। নানা রকমের সীমাবদ্ধতার কারণে একে এখনই মানুষের সাথে ব্যাবহার করা যাচ্ছে না। ভয়েরও একটা ব্যাপার আছে। সব ক্ষেত্রেই ঠিক ঠাক মত কাজ করবে কিনা, এমন কিছু করবে কিনা যাতে করে মানুষের ক্ষতি হতে পারে সে কারণটাও ভাবা হচ্ছে। তাই এত সব বিষয় বিবেচনা করে একে এখন একটি মেয়ে পুতুলের সাথে রাখা হয়েছে। পরীক্ষকরা নিরবে তারা কী কী আচরণ করে, কী কী প্রতিক্রিয়া হয় তা পর্যবেক্ষণ করেন। কেঞ্জির প্রথম প্রেম তাহলে একটি মেয়ে পুতুল! মানুষের সাথে যে একদমই পরীক্ষা করা হয় নি তা না।
বিপত্তি বাধে তখনই যখন দেখা যায় রোবটটি সে তরুণী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ফেলেছে। এক ইয়ং বয়েসের মেয়ে তার রুমে যায় তার সফটওয়্যার পরীক্ষা করতে এবং নতুন রুটিন লোড করতে। কয়েক ঘণ্টা থাকার পরে যখন তরুণী চলে আসবে তখন রোবট বাবাজি উনাকে আটকে বসে আছে! যেতে দেবে না! দরজা দিয়ে যেন যেতে না পারে সে জন্য দরজা আটকে রেখেছে। দরজায় আসাতে জড়িয়ে ধরে বসে আছেন ইনি! পরবর্তীতে এই হতভাগা(!!) মেয়ে না পেরে সিনিয়র স্টাফ সদস্যকে ফোন করেন। তারা এসে রোবটটিকে সাময়িকভাবে ডি-একটিভ করার আগ পর্যন্ত তিনি রোবটের আলিঙ্গন থেকে বের হতে পারেন নি! কয়েক ঘণ্টাতেই এমন গভীর প্রেম!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top