GuidePedia

0
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৫টি দেশে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত, সংঘটিত অপরাধ চিহ্নিতকরণ, অপহরণ ও মানবপাচার রোধে গোয়েন্দা সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই সফটওয়্যার দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিসেবা ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপসহ যাবতীয় কার্যক্রম সহজেই মনিটর করা সম্ভব। ফলে ব্যক্তির গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। ব্যক্তির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়।’
বাংলাদেশসহ ২৫ দেশে ব্যবহার হচ্ছে গোয়েন্দা সফটওয়্যার


ফিনস্পাই (ফিনফিশার নামেও পরিচিত) নামে এ সফটওয়্যার সন্দেহজনক ই-মেইলকে টার্গেট করতে পারে। বাইরাইনে সরকারবিরোধী কার্যকলাপ টার্গেট করে তা চিহ্নিত করার পরে বিশ্ববাসীর নজরে আসে সফটওয়্যারটি। এই সফটওয়্যার বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারে। এর মধ্যে আছে পাসওয়ার্ড এবং স্কাইপে কলের অডিও (কণ্ঠস্বর)এগুলো চুরি করে সংশ্লিষ্ট সার্ভারে পাঠিয়ে দেওয়া যায়।


কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, ‘মানবের যাবতীয় রেকর্ড সংরক্ষণ করতে পারে এই সফটওয়্যারটি। এমনকী স্কাইপে থেকেও অডিও কপি করে নিতে পারে।’ ল্যাবটি মানবাধিকার, ডিজিটাল মিডিয়া ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে গবেষণা করে থাকে। ল্যাবের সূত্র মতে, ফিনফিশার সফটওয়্যার ব্যবহারকারী ২৫টি দেশ হল অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রুনাই, কানাডা, চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, ইথিওপিয়া, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, লাটভিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মঙ্গোলিয়া, হল্যান্ড, কাতার, সার্ভিয়া, সিঙ্গাপুর, তুর্কমেনিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম। সূত্র : ফেসবুক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top