GuidePedia

0
সৌদি নারীর প্রেমের ঘটনায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ

ডেস্ক : এক সৌদি নারীর প্রেম ও প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। ওই সৌদি নারী সম্প্রতি তার প্রেমিকের সঙ্গে ইয়েমেনে পালিয়ে যান। সৌদি এই নারীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ইয়েমেন
সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ।
সৌদি আরবের একটি মোবাইলের দোকানে হুদার সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় আল-কাদিরের। কাদির ওই দোকানে কাজ করতেন। তাদের মধ্যে এক সময় গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় হুদা সিদ্ধান্ত নেয় আল-কাদিরের সঙ্গে ইয়েমেন পালিয়ে যাবে সে। গত অক্টোবরে ইয়েমেনের আরাফাত মোহাম্মেদ তাহের আল-কাদিকে (২৫) বিয়ে করার জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ইয়েমেনে পালিয়ে যান হুদা। ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ তাঁকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে এবং পরে বিচারের জন্য আদালতে হাজির করে। হুদা রোববার এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে আদালতে ইয়েমেনে শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার আবেদন করেন। আদালত তাঁর বিচার আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে।
এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে আদালত চত্বরে প্রেমিক যুগলের হাজার হাজার সমর্থক ‘সীমান্ত ও নাগরিকত্বের ঊর্ধ্বে ভালোবাসা স্লোগান দিয়েছে। অনেকে আমরা সবাই হুদা লেখা পট্টি মাথায় বেঁধে সৌদি নারী হুদার প্রতি সমর্থন জানান।
ইউএনএইচসিআরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইউএনএইচসিআর আল-নিরানকে ‘মানবিক আশ্রয়’ পেতে সাহায্য করবে, যাতে তাঁকে ইয়েমেন থেকে বের করে দেওয়া না হয়।
এ দুই প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে করার অঙ্গীকার নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা করছেন ইয়েমেনি ও সৌদিরা। আরব নারীর এমন সাহস দেখে খুব রক্ষণশীল দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ বেশ অবাক হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top