GuidePedia

0
পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন। তেমনই বেশ কিছু ঘটনা আছে সমাধি সৌধ মমিকে কেন্দ্র করে।

অবিশ্বাস্য বা কাকতালীয় মনে হলেও পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন। তেমনই বেশ কিছু ঘটনা আছে সমাধি সৌধ মমিকে কেন্দ্র করে। মিসরীয় রাজা-রানীরা বিশ্বাস করত মৃত্যুর পর আত্মা পুনর্জীবিত হয়ে পুনরায় দেহে ফিরে আসে। তাই তাদের মৃত্যুর পর মৃতদেহ মমি করে কফিনে রেখে দেওয়া হতো। এই বিশ্বাসের কারণেই মিশরে গড়ে উঠেছিল আশ্চর্যজনক সব পিরামিড।
মমি আজো মানুষের কাছে এক বিস্ময়কর বিষয়। মমি-কে নিয়ে আজো মানুষের মনে রয়েছে হাজারো বিস্ময়। এ মমিকে নিয়ে বেশ কিছু অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনাও রয়েছে। আসুন তার ম
বিস্ময়কর সব তথ্য
ধ্য থেকে কয়েকটা ঘটনা আমরা জানি।
এক সময় মিশরে দুর্দান্ত প্রতাপশালী ফারাওদের বসবাস ছিল। যাদের আমরা বলি ফেরাউন জাতি। ফারাওদের মধ্যে তুতেম খামেনের নাম খুবই উল্লেখযোগ্য। তিনি খুব অল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ যথারীতি একটি সোনার কফিনে মুড়ে বহু মূল্যবান ধনরত্নসহ মমি করে রেখে দেওয়া হয়। ১৯২২ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রত্মতত্ত্ববীদ মি. হাওয়ার্ড, তার পার্টনার ও অর্থ জোগানদার কর্নারভান আবিষ্কার করেন ধনরত্ন, মণিমুক্তা খচিত ফারাও তুতেনের কফিন। সেটা ছিল পৃথিবী কাঁপানো এক ঘটনা। কিন্তু আসল ঘটনার উদ্ভব ঘটে এরপর থেকে। তুতেন খামেনের গুপ্তধন আবিষ্কারের ৫ মাসের মাথায় অর্থ জোগানদার কর্নারভানের মৃত্যু হয়। কিভাবে বা কেন কর্নারভানের মৃত্যু হয় তা সম্পূর্ণ অজানা। সে কি কারণে মারা যায় ডাক্তাররাও তা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হন। তার মৃত্যু আরেক বিস্ময়কর ঘটনার সৃষ্টি করে। যে মুহূর্তে তিনি মারা যান তখন মিশরের রাজধানী কায়রোর সবগুলো বাতি হঠাৎ নিভে যায়। শুধু তাই নয়, লন্ডনে তার পোষা কুকুরটিও একই সময় ছটফট করতে করতে মারা যায়। এরপর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, মমিটির গায়ে যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র ছিল, কর্নারভানের শরীরও ঠিক সে রকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র হয়ে গিয়ে ছিল। কিন্তু এর প্রধান আবিষ্কারক মি. হাওয়ার্ড ৭০ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top