GuidePedia

0
দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা। যত্রতত্র সেলফোনের প্রয়োজনীয়তার কারনে হুট করে চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপাকে পড়তে হয় আপনাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন সেলফোন চার্জের চমৎকার এক উপায়। তারবিহীন এ পদ্ধতিতে শুধুমাত্র এসএমএস এর মাধ্যমেই চার্জ হবে স্মার্টফোন। তবে, এর জন্যে আপনাকে গুনতে হবে নির্দিষ্ট পরিমান সেবাব্যয়।

উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলোতে এই পদ্ধতি খুবই প্রয়োজনীয়। কারন এসব অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে সেলফোনের ব্যবহার, পাশাপাশি বিদ্যুতের সরবরাহও যথেষ্ট নয়। তাই, এই পদ্ধতি যথেষ্টই সাড়া ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে উগান্ডায় এ পদ্ধতির সফল প্রয়োগ করা হয়েছে। আর তাতে সাফল্যেও মিলেছে। নিউসায়েন্টিস প্রচারণায় এমন তথ্যই সুস্পষ্ট হয়েছে।


এ পদ্ধতিতে ব্যাটারি চার্জ হবে সৌরশক্তিতে (সোলার সিস্টেমে), এ প্রযুক্তিকে ম্যাক্সিমাম পাওয়ার পয়েন্ট ট্র্যাকিং (এমপিপিটি) বলা হচ্ছে। এতে ৬০ ওয়াটের শক্তিতে ব্যাটারি চার্জ নিশ্চিত করবে। পূর্ণ সৌরশক্তি এবং আবহাওয়ার উত্তাপ থেকে সেলফোন এ চার্জ সরবরাহ করবে এসএমএস সিস্টেমটি। পয়েন্ট টু পয়েন্ট সার্কিট সিস্টেমে এটি সেলফোনে তারহীর চার্জ পৌঁছে দেবে। এ জন্য আলাদা কোনো পণ্য সংযোজন করতে হবে না।


এমপিপিটি মনিটরের মাধ্যমে এটি দিনরাতের যে কোনো সময়ে প্রত্যাশিত সেলফোনে চার্জ সরবরাহ করবে। এতে শক্তি সরবরাহে তেমন কোনো বিপত্তি আসবে না। গচ্ছিত সৌর এবং উত্তাপ শক্তিকে তারহীন বিদ্যুতে রূপান্তর করেই এ চার্জ সিস্টেম সক্রিয় করা হবে। একটি এসএমএস করলেই এ সেবা সহজেই গ্রহণ করা যাবে। এ মুহূর্তে উগান্ডায় পরীক্ষামূলক প্রতিবার পূর্ণচাজে চার্জে ১১০ সিলিং সেবাব্যয় নেওয়া হচ্ছে।

charge in sms
এ পদ্ধতিতে এসএমএস করা মাত্রই ওই নির্দিষ্ট সেলফোনের জন্য একটি লেড সকেট চালু হয়ে যায়। এ অর্থ ওই সেলফোনে চার্জ দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে উগান্ডায় এ সেবা দিতে বাফেলো গ্রিডের অধীনে ১০টি চার্জিং পয়েন্ট চালু করা হয়েছে। দিনে এখন সেখানে ৩০ থেকে ৫০টি সেলফোনও সফলভাবে চার্জও করা হচ্ছে।


তবে তারহীর এ অভিনব চার্জ পদ্ধতির সেবাব্যয় বেশি হওয়ার দাম কমিয়ে আনার প্রস্তাব উঠেছে। গ্রাহক সংখ্যা বাড়লে এবং কোনো ভতূর্কি পেলে এ সেবাব্যয় কমিয়ে আনা এমনকি ফ্রিও করা সম্ভব বলে বাফেলো গ্রিড জানিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে বাফেলো গ্রিডের মুখপাত্র ড্যানিয়েল বিসিরা বলেন,
এ পদ্ধতিতে সৌরশক্তির বিকল্প ব্যবহার আর বিদ্যুতের অপচয় কমানো সম্ভব। এমনকি ভোক্তাদের বাড়তি ভোগান্তিই কমিয়ে আনা সম্ভব। এ পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। অচিরেই একে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। পরে একে বাণিজ্যিকভাবে সফলভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top