কলকাতার ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেলের প্ল্যাট ফর্মে শিশু কন্যার জন্ম দিয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী। গিরিশ পার্ক স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে জন্মানো শিশুকন্যার মা-বাবা বাংলাদেশি। ছেলের চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন। তাঁদের নাম মমতাজ বেগম ও শেখ রফিকুল ইসলাম। রফিকুল পেশায় ভ্যানচালক। ওই দম্পতির বড় ছেলে চোদ্দো বছরের শেখ আশিক রক্তের ক্যানসারে আক্রাšত্ম। এক সপ্তাহের ভিসা নিয়ে গত বুধবার আশিককে নিয়ে ভারতে আসেন মমতাজ। উদ্দেশ্য ছিল, ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করানো। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে প্রসব- বেদনা ওঠে আট মাসের অšত্মঃসত্ত্বা মমতাজের। দুপুর আড়াইটে নাগাদ গিরিশ পার্ক স্টেশনেই আড়াই কিলো ওজনের ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দিয়েছেন তিনি। মেট্রোকর্মী ও পুলিশ দু’জনকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন।
হাসপাতাল থেকে ফোনে মমতাজ বলেন, “বাংলাদেশের যশোহর জেলার কেশবপুরে বাড়ি আমাদের। মেয়ে যে কলকাতা শহরে জন্মাবে কস্মিন কালেও ভাবিনি। কলকাতার লোকজন এত ভাল, এত সাহায্য করল কী বলব!”
আরও বললেন, “বড় ছেলে ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি। দু’বছর ধরে ওকে নিয় কলকাতায় যাতায়াত করছি। আমার এক মেয়ে ছিল। তিন মাস বয়সে ওরও ক্যানসার ধরা পড়ে। ন’মাসে মারা যায়। মনে হচ্ছে, আল্লা আমার সেই মরা মেয়েকে ফিরিয়ে দিলেন।” সাত দিনের ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। ছেলের কেমোথেরাপির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় সঠিক সময়ে দেশে ফেরা হয়নি। দশ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে অবশ্য চিšত্মা করছেন না মমতাজ। মেয়ে সুস্থ আছে, তাতেই তিনি খুশি। ভারতের মাটিতে জন্মানোর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সদ্যোজাত যে ভারতের নাগরিক হয়ে গেল অতশত অবশ্য এখনও বুঝতে পারেননি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
হাসপাতাল থেকে ফোনে মমতাজ বলেন, “বাংলাদেশের যশোহর জেলার কেশবপুরে বাড়ি আমাদের। মেয়ে যে কলকাতা শহরে জন্মাবে কস্মিন কালেও ভাবিনি। কলকাতার লোকজন এত ভাল, এত সাহায্য করল কী বলব!”
আরও বললেন, “বড় ছেলে ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি। দু’বছর ধরে ওকে নিয় কলকাতায় যাতায়াত করছি। আমার এক মেয়ে ছিল। তিন মাস বয়সে ওরও ক্যানসার ধরা পড়ে। ন’মাসে মারা যায়। মনে হচ্ছে, আল্লা আমার সেই মরা মেয়েকে ফিরিয়ে দিলেন।” সাত দিনের ভিসা নিয়ে এসেছিলেন। ছেলের কেমোথেরাপির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় সঠিক সময়ে দেশে ফেরা হয়নি। দশ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে অবশ্য চিšত্মা করছেন না মমতাজ। মেয়ে সুস্থ আছে, তাতেই তিনি খুশি। ভারতের মাটিতে জন্মানোর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সদ্যোজাত যে ভারতের নাগরিক হয়ে গেল অতশত অবশ্য এখনও বুঝতে পারেননি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন