GuidePedia

0
নারীর যৌবনের পতন!
নারীর যৌবনের পতন! নারীর যৌবনের পতন!

আপন মাংসে যেমন হরিণা বৈরী, তেমনি আপন লাব্যণ, সৌন্দর্য নারীর বৈরী। হরিনের মাংস না লাগলে বাঘ তাকে আক্রমণ করে না, তেমনি নারীর দেহে যৌবন না এলে পুরুষের নজরে পড়ে না, বিপদেও পড়ে না। একটি ছেলে যত স্বাধীন এবং যত নিরাপত্তার সাথে চলাফেরা করতে পারে একটি নারী তা পারে না। একটি ছেলের জন্য পরিবেশ যত অনুকুল একটি মেয়ের জন্য পরিবেশ তত অনুকুল নয়। আবার নারীও কম কথায়? শরীরে এলে যৌবন, শরীর দুলায়ে বেড়াবে। নারী মুক্তি পাক এ স্লোগানে এখন সকলে উদ্ধ্রদ্ধ এবং সচেতন। কিন্তু নারীর মুক্তি আজ
ই হবে না। নারী সতী সাদ্ধী সর্বাংশে সত্য নয়। অনধিকার কর্মের জন্য ওরা পতনের তীরে। মৃত্যুর সম্মুখ থেকে ওরা এখন ফিরতে চাচ্ছে। ওরা পুরুষের শিকার হবে কেন? ওরা বেহায়াপনা করবে কেন? অঙ্গ দেখিয়ে বেড়ানো কি আধুনিকতার ফসল? আলুথালু অঙ্গ নিয়ে ঘুরে বেড়াবে আবার কটুক্তি করলে দোষ হবে! শীলতাহানির শিকার কি এমনিতে হয়? মরু থেকে মেরু, সাগর থেকে মহাকাশ ওরাও তো যাচ্ছে। তবুও ওদের ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তার কালো মেঘে ঢাকা কেন? ওরা বোঝে কম,বলে বেশি। চুপ করতে বললে বেশি বলে। ওদের প্রতিটি সান্তনাবাণী পুরুষ শোনে কিন্তু ওরা পুরুষের অনুরাগের মুল্য দায় না। আর একটা কথা নারীর সৌন্দর্য পরিবৃদ্ধির সাথে সাথে তার শত্র”র সংখ্যা যেমন বেড়ে যায় তেমনি বাড়ে বন্ধুর সংখ্যা। নানা দিক থেকে অফার পেতে থাকে। এতে নারী যেমন গর্ববোধ করে। তখন সে আরো বেশি নিজেকে আকৃষ্ট করে। উপস্থাপনা করতে যায়। বিনিময়ে তার কপালে কি জোটে ? অপহরণ হয়। অপহরণ হলে তো তাকে বসিয়ে দুধকলা খাওয়ানো হয় না। তার সতীত্ব তো হরণ করা হয়ই এমনকি তার জীবন পর্যন্ত চলে যায়। এটা এক আর একটা হচ্ছে এসিড নিক্ষেপের স্বিকার হয়। সুন্দর মুখটাকে চিরতরে অসুন্দর, এবড়ো থেবড়ো করে দেয়। সুতরাং নারীর এই পতনের জন্য দায়ী তার রুপ, তার দম্ভ, সরলতা এবং তার বেহায়াপনা। আমি বলছি যারা নিজেকে অনেক বেশি পাশ্চাত্যেরভাবে এবং তাদের অনুকরণ সাপেক্ষে চলা ফেরা করে। ভাবতে হবে আমাদের পরিবেশ এখন ঐ অবস্থার জন্য উপযোগী না। এখানে এখানে সেই নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি হয়নি যে, একটি মেয়ে রাতে একা হেটে নিজ বাড়ি যাবে। তাই এই দেশে একটি নারীর বাইরে থাকার সময় হচ্ছে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত। যেদেশে স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে স্ত্রীকে বলাৎকার করে, মায়ের বুক থেকে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে বলাৎকার করে সেই দেশে এখন অবধি একটি নারী একা পথ হাটবে এটা একটা কল্পনা। আমাদের মূল্যবোধে পরিবর্তন আনতে হবে, নিজেদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে, ভাবতে হবে আমি মানুষ। আমি অমানুষ বা পশু নয়। আমি যা তা করতে পারি না। আমার বিবেক যখন আমাকে বলবে এটা খারাপ, ওর দিকে ধাপিত হয়ও না। সেদিনই আমাদের উন্নতি আসবে, বিশ্বে সুান বাড়বে। কিন্তু সে বিবেক কবে জাগ্রত হবে ? কেউ কি বলতে পাড়ে সেই দিন কবে আসবে ?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top