GuidePedia

0
সেক্স আসলে কী, একটু বলবেন? ভীষণ লজ্জার কথা!! আপনি লাজ সরমের মাথা খাইছেন? সেক্স-টেক্স নিয়া কথা বলেন। ওগুলো হলো গোপনীয় বিষয়, জনসম্মুখে, দেখতে তো বাচ্চা-পোলাপাইন মনে হয়,বেয়াদবি! জবাব একজন বাবার, যিনি ১৫ বছরের মেয়ে আর ১২ বছরের ছেলের জনক। শিক্ষিত চাকুরিজীবি।
বাংলাদেশে গোপনীয় ‘সেক্স ক্লিনিক’!!!

শিক্ষিত হোক আর নাই হোক, গ্রামের কিংবা শহরের, বান্দা যেমনি হোক, যৌনতা বিষয়ে কঠিন রাখঢাক মেনে চলে সবাই। অন্তরে অতীব আগ্রহ থাকলেও স্বীকার করতে চায় না। আবার অনেকে অন্যের বিশেষকরে মেয়েদের পোষাক পরিচ্ছদ চলাফেরা নিয়ে সদা সক্রিয় সমালোচক, নিজে আবার এমন হেন কাজ নাই যা করে না। যাইহোক, যৌনতা নিয়ে আমাদের সমাজে যে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর অস্বস্থির সুযোগে মানুষের মনে বিশেষকরে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের মনে জেগে বসেছে নানা কুসংস্কার আর ভ্রান্ত ধারণা।ফায়দা লুটছে কিছু বিকৃতরুচির ব্যবসায়ী। ফলে যৌন জীবন নিয়ে হতাশাগ্রস্থ লোকের সংখ্যা দিন দিন চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। অথচ, সেক্স আর দশটা প্রাথমিক শারীরিক চাহিদার মতো একটি। একে অস্বীকার করে বা লুকিয়ে রেখে সমস্যার কোন সমাধান হয় না, সুখী হওয়াতো অনেক পরের বিষয়। এরকম প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ চালু করেছে ‘সাইকিয়েট্রিক সেক্স ক্লিনিক’।
গত ২১ মার্চ প্রতিষ্ঠানের শহীদ ডা. মিলন মিলনায়তনে ‘এসোসিয়েশন অব থেরাপিউটিক কাউন্সেলর’স, বাংলাদেশ’ এর দ্বিতীয় বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কথা জানালেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিপ্লব। যৌন সমস্যা বিষয়ে পরিষ্কার বৈজ্ঞানিক ধারনা তথা সচেতনতা বাড়ানো, উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে জীবনের মানের গুনগত উন্নয়ন সাধন করাই এই ক্লিনিকের লক্ষ, জানালেন তিনি। আপাতত প্রতি সোমবার সকাল ১১.৩০ টায় মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে এই ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে। বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মধ্যে যারা সেক্সুয়াল সমস্যা নিয়ে আসে তাদের এই ক্লিনিকে রেফার্ড করা হয়। এ ছাড়াও অন্য বিভাগ হতেও রেফার্ড হয়ে অনেকে আসেন সেবা নিতে।

যথাযথ মুল্যায়ন করার পর প্রয়োজনীয় শারীরিক বা মানসিক চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রয়োজন হলে হাসপাতালের অন্য বিভাগেও রেফার্ড করা হয় এখানকার রোগীদের। নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। শুভ কামনা রইল উদ্যোক্তাদের জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top