এবার বিয়ের সব রীতি-নীতি, আচার-আচরণ ও নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে জ্যামাইকার এক সমুদ্র তীরে নগ্ন অবস্থায় একটি গণবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। স¤প্রতি বিষয়টি ফাঁস হলে তা নিয়ে গোটা বিশ্বে তোলপাড় হয়ে যায়। বিয়ে মানেই আনন্দ-উৎসব, সামাজিক মিলনমেলা। ভদ্রতা ও নম্রতার আবর্তে ‘বিবাহ’ শব্দটি শুভভাবেই সম্পন্ন করা হয়। বর-কণে, উৎসব-আনন্দ অনেক কিছুই মিশে থাকে বি
য়ে শব্দটির মধ্যে। মানুষ যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে উঠে তখন সে তার জৈবিক চাহিদা মেটানো ও পারিবারিক কাঠামো তৈরি করার জন্য ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি নীতি অনুযায়ী বিয়ে করে থাকে। মানুষের জন্ম লগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি বিশ্বে বিয়ে প্রথা প্রচলিত আছে এবং থাকবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নিয়মে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। বিয়েকে ঘিরে উৎসব আমেজও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। বিয়েতে সাধারণত বিয়ের দিন বর ও কণে উভয়ই ঐতিহ্যগত ও ধর্মীয়ভাবে ঝলমলে পোশাক পরিধান করে থাকে। আধুনিক সমাজে বিয়ে প্রথা ও রীতি-নীতি যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনি বিয়ের আয়োজনেও এসেছে অনেক পরিবর্তন ও নতুনত্ব। আধুনিক এ বিশ্বে মানুষ সব কিছুতেই একটু ব্যতিক্রম খোঁজার চেষ্টা করে। ফলে পৃথিবী আধুনিক হচ্ছে নাকি অসভ্য হচ্ছে সেটাও ভাবনার বিষয়।
২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী জ্যামাইকার একটি সমুদ্র সৈকতে আয়োজন করা হয় এক নগ্ন বিয়ের উৎসব। যে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ে পড়ানো হয় ৯ জোড়া বর কনেকে। অনুষ্ঠানটি ছিল বর্ণাঢ্য, তবে রুচিহীন ও নিন্দিত। এ দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কণের পায়ে দামি জুতা, হাতে রিস্টব্যান্ড এবং গলায় টাই আর নেকলেস থাকলেও তাদের শরীরে ছিল না কোনো পোশাক।
শরীরে কোনও পোশাক না থাকলেও যথারীতি কনেদের অনেকের মাথায়ই ছিল ঘোমটা বা অবগুণ্ঠন! আবার দু-একজন কণে মুকুট বা হ্যাটও পরেছিলেন। উলঙ্গ বর-কনেরা যাতে সহজেই সবার চোখে পড়ে সেজন্য তাদের দেহে বাড়তি সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে তাদের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পেইন্ট! আর কনেদের হাতে লাগানো হয়েছিল লাল, সাদা আর হলুদ রংয়ের বাহারি ফুল।
নয়টি নগ্ন জুটির আলোচিত-সমালোচিত এ গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জামাইকার নেগ্রিল সমুদ্র সৈকতে উন্মুক্ত আকাশের নিচে। এমন নির্লজ্জ ও উদ্ভট নগ্ন বিয়ের আয়োজন করেছিল ‘দ্য হেডোনিজম টু রিসোর্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানটি একই সঙ্গে বহন করেছে এ নয় জুটির নগ্ন হয়ে বিয়ে করার যাবতীয় খরচও।
নগ্ন বিয়ের এ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের বাছাই করার জন্য ‘কেন তোমরা নগ্নতার মধ্য দিয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করতে চান?’ এ প্রশ্নটিসহ আরও কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতার মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয় ১০০ জুটিকে।
ওই ১০০ জুটির মধ্য থেকে বাছাই করা হয় ভাগ্যবান সেরা ১০ জুটিকে। যাদের প্রদান করা হয় নগ্ন বিয়ের বিশেষ সুযোগ। আনন্দের বিষয় এই যে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ১০টি জুটি নির্বাচন করা হলেও পরে একটি জুটির শুভবুদ্ধির উদয় হলে তারা এ অনুষ্ঠান থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।। ফলে আয়োজনটি ৯টি জুটিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সেই ৯ জুটি নগ্ন বিয়েতে অংশ গ্রহণ করে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান ভেবেছে। অবশ্য বিশ্বের বিবেকবান মানুষরা ভেবেছে তারাই সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী। এ বিয়েকে ঘিরে জ্যামাইকাসহ সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিবেকবান মানুষেরা আশা করেন আধুনিকতা বা ব্যতিক্রমতার নামে ভবিষ্যতে কেউ যেনো আর কোনও দিন এ ধরনের নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন না করেন।
য়ে শব্দটির মধ্যে। মানুষ যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে উঠে তখন সে তার জৈবিক চাহিদা মেটানো ও পারিবারিক কাঠামো তৈরি করার জন্য ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি নীতি অনুযায়ী বিয়ে করে থাকে। মানুষের জন্ম লগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি বিশ্বে বিয়ে প্রথা প্রচলিত আছে এবং থাকবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নিয়মে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। বিয়েকে ঘিরে উৎসব আমেজও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। বিয়েতে সাধারণত বিয়ের দিন বর ও কণে উভয়ই ঐতিহ্যগত ও ধর্মীয়ভাবে ঝলমলে পোশাক পরিধান করে থাকে। আধুনিক সমাজে বিয়ে প্রথা ও রীতি-নীতি যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনি বিয়ের আয়োজনেও এসেছে অনেক পরিবর্তন ও নতুনত্ব। আধুনিক এ বিশ্বে মানুষ সব কিছুতেই একটু ব্যতিক্রম খোঁজার চেষ্টা করে। ফলে পৃথিবী আধুনিক হচ্ছে নাকি অসভ্য হচ্ছে সেটাও ভাবনার বিষয়।
২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী জ্যামাইকার একটি সমুদ্র সৈকতে আয়োজন করা হয় এক নগ্ন বিয়ের উৎসব। যে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ে পড়ানো হয় ৯ জোড়া বর কনেকে। অনুষ্ঠানটি ছিল বর্ণাঢ্য, তবে রুচিহীন ও নিন্দিত। এ দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কণের পায়ে দামি জুতা, হাতে রিস্টব্যান্ড এবং গলায় টাই আর নেকলেস থাকলেও তাদের শরীরে ছিল না কোনো পোশাক।
শরীরে কোনও পোশাক না থাকলেও যথারীতি কনেদের অনেকের মাথায়ই ছিল ঘোমটা বা অবগুণ্ঠন! আবার দু-একজন কণে মুকুট বা হ্যাটও পরেছিলেন। উলঙ্গ বর-কনেরা যাতে সহজেই সবার চোখে পড়ে সেজন্য তাদের দেহে বাড়তি সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে তাদের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পেইন্ট! আর কনেদের হাতে লাগানো হয়েছিল লাল, সাদা আর হলুদ রংয়ের বাহারি ফুল।
নয়টি নগ্ন জুটির আলোচিত-সমালোচিত এ গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জামাইকার নেগ্রিল সমুদ্র সৈকতে উন্মুক্ত আকাশের নিচে। এমন নির্লজ্জ ও উদ্ভট নগ্ন বিয়ের আয়োজন করেছিল ‘দ্য হেডোনিজম টু রিসোর্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানটি একই সঙ্গে বহন করেছে এ নয় জুটির নগ্ন হয়ে বিয়ে করার যাবতীয় খরচও।
নগ্ন বিয়ের এ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের বাছাই করার জন্য ‘কেন তোমরা নগ্নতার মধ্য দিয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করতে চান?’ এ প্রশ্নটিসহ আরও কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতার মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয় ১০০ জুটিকে।
ওই ১০০ জুটির মধ্য থেকে বাছাই করা হয় ভাগ্যবান সেরা ১০ জুটিকে। যাদের প্রদান করা হয় নগ্ন বিয়ের বিশেষ সুযোগ। আনন্দের বিষয় এই যে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ১০টি জুটি নির্বাচন করা হলেও পরে একটি জুটির শুভবুদ্ধির উদয় হলে তারা এ অনুষ্ঠান থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।। ফলে আয়োজনটি ৯টি জুটিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সেই ৯ জুটি নগ্ন বিয়েতে অংশ গ্রহণ করে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান ভেবেছে। অবশ্য বিশ্বের বিবেকবান মানুষরা ভেবেছে তারাই সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী। এ বিয়েকে ঘিরে জ্যামাইকাসহ সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিবেকবান মানুষেরা আশা করেন আধুনিকতা বা ব্যতিক্রমতার নামে ভবিষ্যতে কেউ যেনো আর কোনও দিন এ ধরনের নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন না করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন