
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি প্রাচীন দূর্গের নীচে প্রায় এক হাজার টন সোনা লুকানো আছে –শোভন সরকার নামেএক হিন্দু সন্ন্যাসী এই স্বপ্ন দেখার পরে শুক্রবার সকালে দেশটির সরকারী পুরাতত্ত্ব বিভাগ সেখানে খনন কাজ শুরু করেছে।দুর্গের আশপাশ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দিয়েছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় ডোন্ডিয়া খেরা গ্রামের যে দূর্গে খনন কাজ শুরু করেছে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ, সেই দূর্গটি সিপাহী বিদ্রোহের সময়কার রাজা – রাও রামবক্স সিংয়ের। সেই সন্ন্যাসীটি ওই স্বপাদেশের বিষয়টি জানান তাঁর এক ভক্ত – কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চরণদাস মহন্তকে। তাঁর দফতর থেকেই পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ও ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে খননকাজ শুরু করার জন্য আবেদন জানানো হয়।
পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের খননকার্য বিভাগের প্রধান সৈয়দ জামাল হাসান বলছিলেন যে “খননের আগে ভূতাত্ত্বিকরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে যে প্রায় কুড়ি ফুট নিচে সোনা, রুপোর মতো কোনও ধাতু থাকতে পারে। সোনা পাওয়া যাক বা না যাক, মূর্তি বা মুদ্রার মতো পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন তো পাওয়া যাবে – আর সেগুলো সবই অমূল্য।” ভূতাত্ত্বিকেরা অবশ্য কতটা পরিমান সোনা-রুপো মাটির নীচে থাকতে পারে, তার কোনও ইঙ্গিত দেন নি।
যদিও সন্ন্যাসী শোভন সরকারের দাবী, তিনি স্বপ্নে জেনেছেন যে মাটির নীচে প্রায় এক হাজার টন সোনা রয়েছে। ওই সোনা উদ্ধার করা গেলে ভারত অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাবে বলে মত দিয়েছেন ওই সন্ন্যাসী।ওই দাবী এবং একজনের স্বপ্নের ওপরে ভরসা করে পুরাতাত্ত্বিক খনন কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কারণ রামবক্স সিং এমন কোনও বড় রাজা ছিলেন না, যাঁর কাছে অতটা সোনা থাকা সম্ভব। তিনি আদতে এক বড় জমিদার ছিলেন মাত্র।
কিন্তু সোনা পাবার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই) আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে, প্রথমে যে স্থানে খনন করা হয়েছে সেখানে সোনার চিহ্নমাত্র নেই। এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিজি বি আর মণি বলেন, আগামিকাল থেকে প্রথম স্থানটির খননের কাজ সরকারি ভাবে বন্ধ করে দ্বিতীয় স্থানের খনন শুরু হবে। আর সাত থেকে দশ দিন পরই পুরো ছবিটা সামনে চলে আসবে।
কিন্তু এত লোক-লস্কর খরচ করে, এত দিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি করে লাভটা কী হল?
এএসআইয়ের দাবি, এর আগে ওই স্থানটি থেকে যে নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল তা সপ্তম শতকের। বর্তমান খননে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে কিছু খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের। উন্নাওয়ের ইতিহাস যে আরও আটশো বছরের পুরনো, তা এই খননের ফলেই জানা গেল।
এএসআইয়ের দাবি, এর আগে ওই স্থানটি থেকে যে নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল তা সপ্তম শতকের। বর্তমান খননে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে কিছু খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের। উন্নাওয়ের ইতিহাস যে আরও আটশো বছরের পুরনো, তা এই খননের ফলেই জানা গেল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন