GuidePedia

0
সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে রাতে একটু শান্ত মনে হয়ত ঘুমাতে গেলেন কেউ। চোখে ঘুম লেগে আসার সাথে সাথেই ধড়ফড়িয়ে উঠতে হলো পাশের কারো নাক ডাকার শব্দে। এমন নাক ডাকার বদভ্যাসের কারণে একপক্ষের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি যে নাক ডাকেন তার জন্যও এটা লজ্জার। তবে এটা কোনো রোগ নয়, যাপিত জীবনের কিছু বিষয় তো অনুসরণ করলেই হয়ত মুক্তি পাবেন নাক ডাকা থেকে।
নাক ডাকা রোধে করণীয়
পাশ ফিরে ঘুমানো
অনেকে সোজা হয়ে ঘুমানোর ফলে শ্বাসনালীতে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা পায়। এ সময় শব্দ হয়। সেইশব্দ ক্রমশ জোরালো হতে থাকে। তাই সোজা হয়ে না শুয়ে পাশ ফিরে শোওয়া উচিত।
ওজন কমানো
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার কারণে ঘুমানোর সময় সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই অতিরিক্ত ওজন শুধু রোগ সৃষ্টির পাশাপাশি নাক ডাকারও অন্যতম কারণ।
অ্যালকোহল, ধূমপান আর নয়ঘুমানের আগে ক্ষতিকর অ্যালকোহল দ্রব্য সেবনে নাক ডাকা হতে পারে। তাই ক্ষতিকর অ্যালকোহলজাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাছাড়া ধূমপানও নাক ডাকার কারণগুলোর মধ্যে একটি। কারণ শ্বাসনালীতে ধূমপানের ফলে সঠিকভাবে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না।
বালিশ কেরামতিঘুমানোর সময় অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করলে নাক ডাকা দূর করা যায়। অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করলে মাথা বুক থেকে উপরে থাকে। এতে অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস সহজভাবে হয়।
রুটিন মতো ঘুমানোসাধারণ নিয়ম মেনে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। শরীরের মধ্যে একটি সমন্বয় তৈরিতে প্রতিদিন রুটিন মেনে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার বিকল্প নেই। 
ব্যায়ামে সমাধানব্যায়াম করলে শরীরের মাংসপেশি মজবুত, হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া ও রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম সঠিকভাবে ঘুমাতেও সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের ব্যায়াম করলে নাক ডাকা দূর করা সম্ভব।
তরল পানীয় পানপ্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ তরল পানীয় পান করতে হবে। এতে নাক সচল থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাহীন হয়।
নাক থাকুক পরিষ্কার নাক বন্ধ থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা পায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাক পরিষ্কার করে নিতে হবে। শুধু ঘুমাতে যাওয়ার আগেই নয়, এমনিতেও সবসময় নাক পরিষ্কার রাখা উচিত। 
অনেক সময় নাক ডাকার কোনো নির্দিষ্ট কারণ থাকে না। উপরের বিষয়াদি অনুসরণ করে ফল না পেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top