GuidePedia

0

কুখ্যাত গ্যাংস্টার আবু সালেম মুম্বইয়ের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নতুন প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার প্রক্রিয়ায় ছিল ভিন্নতার ছোঁয়া। বিয়ের কাজটি সেরেছেন চলন্ত ট্রেনে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০২ সালে পর্তুগাল তাকে ভারতে ফেরত পাঠায়। তারপর থেকে কারাবন্দি আছেন প্রায় ১২ বছর। ৮ই জানুয়ারি লক্ষ্ণৌয়ের একটি আদালতে হাজিরা দিতে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সালেমকে। যাত্রাপথের সময়কে কাজে লাগিয়ে বিয়েটা সেরে ফেলেন তিনি। মুম্বই থেকে ফোনে কাজী বিয়ে পড়ান। বিয়ের সাক্ষী তার ভাইপো রাশিদ আনসারি আর দুই দল পুলিশ সদস্য। এক দল মুম্বইয়ের, অপর দল লক্ষ্ণৌয়ের। সাংবাদিকেরা আনসারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিয়ের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। বলেন, অনুগ্রহ করে তার ব্যক্তিগত বিষয় থেকে আমাকে দূরে রাখেন। তাদের মধ্যে শুধু আইনি বিষয় নিয়ে কথা হয় বলে দাবি করেন আনসারি। এদিকে সালেমের নতুন বধূ (২৭) সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। টাডা আদালতে সালেমের হাজিরার সময় তাকে প্রায়ই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, মুম্বই শহরে খ্যাতনামা এ গ্যাংস্টারের এখন অল্প বিস্তর যা-ই ব্যবসা আছে, সেগুলো ওই মেয়েই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিয়ের বিষয়ে মুম্বইয়ের কোন পুলিশ কর্মকর্তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে আগ্রহী নন। কেননা এটাকে নিরাপত্তা ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুলিশ শুধু এটুকুই জানিয়েছে, পুলিশ দলের কর্তব্য ছিল নিরাপত্তা দিয়ে সালেমকে নিরাপদে লক্ষ্ণৌতে নিয়ে যাওয়া এবং ফেরত নিয়ে আসা। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তিনি ট্রেনে কি করেন, কার সঙ্গে কথা বলেন, এগুলো পুলিশের মাথা ঘামানোর কোন বিষয় নয়। সম সময়ই জমকালো রঙিন জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আবু সালেমের খ্যাতি আছে। এর আগে তার স্ত্রী ছিলেন মনিকা বেদি যাকে সালেমের সঙ্গেই পর্তুগাল থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে মনিকা বেদি বরাবরই দাবি করে আসছেন তাদের মধ্যে কখনওই বিয়ে হয়নি। এ দফায় বিয়ে করার জন্য সালেম আদালতের কাছে আবেদন করতে পারতেন। সে ক্ষেত্রে চলন্ত ট্রেনে বিয়ে না করে বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার চিরাচরিত পরিবেশে বিয়ের আয়োজন হতে পারতো। আইনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ট্রেনে বিয়ে করাকেই বেছে নেন। এর দু’টি কারণ ধারণা করা যেতে পারে। এক, পরিণয়ের বিষয়টি গোপন রাখা। দ্বিতীয়ত, রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার প্রতি তার অদম্য আগ্রহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top