GuidePedia

0

এইডস একটি মরণব্যাধি। যে রোগের সৃষ্টি হয় এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে। কিন্তু এই এইডসের কোন কার্যকর চিকিৎসা এখনও আবিস্কার হয়নি। তবে সম্প্রতি খবরে প্রকাশ পেয়েছে FIT বায়োটেক নামক একটি কোম্পানি সম্ভবত এইডসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে এবং এই বছরেই ভ্যাকসিনের টেস্ট শুরু করবে তারা।

অনেক দিন ধরেই মেডিক্যাল গবেষকরা এই ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফলতার মুখ দেখেছে বলা যায়। সর্বশেষ গবেষণায় আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনটি রোগ বৃদ্ধির হার কমাতে কিংবা এইচআইভি ভাইরাস সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম বলে জান গিয়েছে। অনেক পরিশ্রমের পর FIT বায়োটেক কোম্পানি দুইটি সেরা ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং দুইটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিকল কোম্পানির সাথে সংযুক্ত হয়ে আবিষ্কার করেছেন যে, তাদের ভ্যাকসিনটি শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

এ বছর বসন্তের শেষের দিকে ১০০ জন এইডস রোগীকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এবং পরবর্তীতে ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের হাজারেরও অধিক রোগীকে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। যদি ভ্যাকসিন প্রদান করার পর এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠে অথবা এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে এইডস রোগের চিকিৎসায় বড়ধরনের সফলতা আসবে বলে আশা করা যায়। ফলশ্রুতিতে এই ভ্যাকসিনটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে বাজারজাত করা হবে ভ্যাকসিনটি।

FIT বায়োটেক কোম্পানির সিআইও “ক্যালেভি রেইজোনেন”(Kalevi  Reijonen) এর ভাষ্যমতে জানা যায় – পূর্বে এইডস রোগীর চিকিৎসা করতে যে খরচ হতো এই ভ্যাকসিন বাজারজাতের পর চিকিৎসা খরচ পূর্ব খরচের ১০ ভাগের এক ভাগ হবে। বর্তমানে ১ বছর ওষুধ চিকিৎসা নিতে একজন এইডস রোগীর কমপক্ষে দশ – পনের হাজার ইউরো ডলার প্রয়োজন হয়। এই বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের লাইসেন্স এবং বাজারজাত করণের উদ্দেশ্য উৎপাদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা হবে বলে আশাবাদ ও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এই ভ্যাকসিনটি আবিষ্কারের ফলে এইডস-এর চিকিৎসায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। আশা করি শীঘ্রই এমন দিন আসবে যখন আর কোন মানুষ এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে না। আর সেই কারণেই FIT বায়োটেক কোম্পানির সফলতা সবার প্রত্যাশা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top