GuidePedia

0
জাতীয় সেক্স ফেস্টিভাল চীনে প্রবল জনপ্রিয়তায়
জাতীয় সেক্স ফেস্টিভাল চীনে প্রবল জনপ্রিয়তায়
জাতীয় সেক্স ফেস্টিভাল চীনে প্রবল জনপ্রিয়তায়
বর্তমান বিশ্বে মানুষের একান্ত গোপনীয় যৌনতা নিয়েও শুরু হয়েছে বেশ লাভজনক ব্যবসা। দেরিতে হলেওঃ এতে শামিল হয়েছে একসময়কার কঠোর আদর্শিক অবস্থানে থাকা দেশ চীনও এতে যোগ দিয়েছে বেশ কয় বছর থেকেই, আর তারই ধারাবাহিকতায় দেশটিতে সম্প্রতি আয়োজন করা হয়েছে গুয়াংঝৌ ন্যাশনাল সেক্স কালচার ফেস্টিভ্যালের। যৌনতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরণের পরিবেশনা নিয়েই এই মেলা। পরিবেশনার জিনিসটি যেমন, মেলার পরিবেশও ঠিক তেমনি মাদকতাময়।
চীনের এই সেক্স ফেস্টিভ্যালটিকে ছোটখাটো একটা মেলা বলা যেতেই পারে। চারপাশে ছোট ছোট দোকান। বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রি হচ্ছে স্বল্পবসনা বিভিন্ন ম্যানিকুইন বা যৌন ক্রিয়া করা যায় এমন নারী পুতুল। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সেক্স টয়। কোথাও বিক্রি হচ্ছে নারী-পুরুষের অন্তর্বাস বা রকমারি রাতপোশাক। কোথাও আবার বিভিন্ন ফ্লেভারের কনডম। ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ করে দেখা হয়ে যেতেই পারে নামিদামি মডেলদের সঙ্গে। রয়েছেন পর্নোগ্রাফির জনপ্রিয় নায়িকারাও। তাদের একবার কাছ থেকে দেখার উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো।
নারী মনে হলেও তারা কেবলই পুতুল, ডাক নাম ম্যানিকুইন
নারী মনে হলেও তারা কেবলই পুতুল, ডাক নাম ম্যানিকুইন
অভিনব এ উৎসবে ঘুরলে মধ্য বয়স্কদের ভিড়ই বেশি চোখে পড়ে। তার ওপর তাদের অধিকাংশই বিবাহিত। এমনই একজন চেন ওয়েজহাউ। ৪৬ বছরের এই বাসচালক অপলকে তাকিয়ে ছিলেন স্বল্পবসনা মেয়ে পুতুলটির দিকে। এক ঝলকে দেখে কোনো স্বাভাবিক নারী বলে ভুল হতেই পারে। প্রশ্ন করে জানা গেল, দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এখন অভ্যাসের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যৌন জীবনের রোমান্স খুঁজে পেতেই এ ফেস্টিভ্যালে এসেছেন তিনি।
ফেস্টিভ্যালে নারীদের তুলনায় পুরুষের ভিড়ই বেশি। এটা অবশ্য চীনের এক সন্তান নীতির প্রতিফলন বলা যেতে পারে। প্রতিটি দম্পতিই চান অন্তত একটি পুত্রসন্তান। সে ক্ষেত্রে এক সন্তান নীতির চাপে পড়ে এক সময় দেশটিতে গর্ভপাতের সংখ্যা বাড়ছিল। আর তারই ফল হিসেবে ২০১২ সালে চীনে লিঙ্গ অনুপাত হয়েছিল ১১৮ জন সদ্যজাত ছেলে প্রতি মাত্র ১০০ সদ্যজাত মেয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষ প্রতি নারীর সংখ্যা এতটা কমে যাওয়ায় সম্ভবত ফুলেফেঁপে উঠেছে দেহ ব্যবসা। প্রসঙ্গত, হাজারের বেশি চীনা সংস্থা বিশ্বের ৭০ শতাংশ সেক্স টয় তৈরি করে, যা রপ্তানি করে বছরে অন্তত দুই বিলিয়ন ডলার আয় হয় দেশটির।
প্রবেশ পথেই হুলুস্থুলঃ  পুরো মেলাতেই ছিলো মধ্যবয়স্কদের বিচরণ
প্রবেশ পথেই হুলুস্থুলঃ পুরো মেলাতেই ছিলো মধ্যবয়স্কদের বিচরণ
চীনের আয়ের মোটা অংশ সেক্স টয় রপ্তানি থেকে এলেও পর্নোগ্রাফি, প্রকাশ্য যৌনতা সেখানে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো এই কিছুদিন আগ পর্যন্ত। এক অষ্টাদশী তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থার ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চলতি বছরের জুনেই এক সরকারি কর্মকর্তার ১৩ বছরের জেল হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ক্রমেই ফাঁস হতে থাকায় শিথিল হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা।
সেক্স ফেস্টিভ্যালে সর্বাধিক চাহিদা ম্যানিকুইনের। এক বিক্রেতার ভাষায়, ৬ হাজার ৪০০ ডলারের এই পুতুল একজন রক্তমাংসের সঙ্গীর মতো যৌনসুখ দিতে পারে। লোক টানতে কোনো কোনো দোকানে আবার আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও। কনডম ফোলানোর প্রতিযোগিতায় জিতে যেমন বিভিন্ন ফ্লেভারের কনডম ও সেক্স টয় জিতেছেন লে জিয়াংলিন।
ফেস্টিভালে অংশ নেয়া এক লাস্যময়ী মডেল
ফেস্টিভালে অংশ নেয়া এক লাস্যময়ী মডেল
ফেস্টিভ্যালে দেখা মিলল প্রৌঢ় এক দম্পতির। ৬৬ বছরের হুয়াং স্বামীর সামনেই অবলীলায় বললেন, ‘সঙ্গীর বয়স হয়ে গেছে, ফলে আগের মতো সেই উত্তেজনা ওর কাছ থেকে আর পাই না। কিন্তু আমার তো কামনা রয়েছে। তাই এই সেক্স টয়-ই বেশ ভালো।’ লাজুক মুখে জানালেন, ৮ ডলার খরচ করে তার স্বামীই কিনে দিয়েছেন সেটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top