মঙ্গল গ্রহে বাংলাদেশী দুই তরুণী যাত্রার জন্য Mars One মিশনে

বছর দুয়েক আগে মঙ্গল অভিযানের এই পরিকল্পনা মাথায় আসে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্স ওয়ানের সিইও ডাচ্ উদ্যোক্তা ও প্রকৌশলী ব্যাস ল্যান্ডসড্রপের। ব্যাস, পরিকল্পনা নুযায়ী শুরু করে দেন কাজ। গত বছর বেশ ঘটা করে ঘোষণাই দিয়ে বসেন যে ২০২৩ সাল নাগাদ মঙ্গলে পাড়ি জমাবে মানুষ। আর সাধারণ মানুষও তাতে অংশগ্রহন করতে পারবেন। তবে তাই বলে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা একবার মঙ্গলে পাড়ি জমালে সেখান থেকে প্রিয় এই পৃথিবীতে ফিরে আসার আর কোন উপায় থাকবে না। আয়োজকদের এই সতর্কতার পরেও মঙ্গলে চিরতরে পাড়ি জমাতে মার্স ওয়ানের সদর দপ্তরে জমা পড়েছে বিশ্বের ১৪০ টি দেশের ২ লাখ ২ হাজার ৫৮৬ টি আবেদন পত্র। এর মাঝে ১ হাজার ৫৮ জনকে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বচিত করা হয়েছে, যাঁদের মাঝে আছেন ২ জন বাংলাদেশী তরুণীও।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও এই ‘মার্স ওয়ান’ মিশনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন দুজন বাংলাদেশী তরুণী, একজন হচ্ছেন সালমা মেহের ঐশী, অন্যজন ডা. শারমিন জাহান। মার্স ওয়ান কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, দিয়েছেন পরবর্তী দিক নির্দেশণা।
বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড পেরোতে পারলেই কেবল মিলবে মঙ্গল যাত্রার টিকেট। আর এ যাত্রা কিন্তু ওয়ান ওয়ে অর্থাৎ মঙ্গলে যাওয়া যাবে, ফিরে আসা যাবে না। সালমা মেহের ঐশী আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে EEE তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। ছোটকাল থেকেই সায়েন্স ফিকশনের বই পড়তে পড়তে তার মাঝে জেগে ওঠে মহাশূন্য জয়ের স্বপ্ন। মার্স ওয়ান মিশন তাই তার কাছে সেই অধরা স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেয়ারই মাধ্যম। আর তার মতে মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে তার।
অন্য আরেকজন নির্বাচিত আবেদনকারী হচ্ছেন ডা. শারমিন জাহান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থানরত শারমিন জানান নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি এ মিশনের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক হওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৩ সাল এখনো অনেক দূরে। শেষ পর্যন্ত এই মিশন ও তার অভিযাত্রীরা কতজন কতটুকু যেতে পারবেন সেটা নিয়ে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মহাশূন্যে এই দুই তরুণীর মাধ্যমে বাংলাদেশের পতাকা উড়লে সেটা বেশ গর্বের ব্যপার হবে বৈকি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন