GuidePedia

0
সিলেটের আকাশে উড়ল চালকবিহীন বিমান 'ড্রোন'


বাংলাদেশের প্রথম চালকবিহীন বিমান ড্রোন এখন আকাশে। মিনিট দশেক আকাশে উড়ার পর আবার সফলভাবে অবতরণ করে। আর এ কয়েক মিনিটেই গড়লো ইতিহাস। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এভাবে ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালান গবেষকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গবেষনা টিমের দলনেতা ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিলসহ টিমের অন্য দুই সদস্য। দলনেতা নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠের খোলা আকাশে ওড়ান ড্রোনটি। টিমের অন্য সদস্যরা তাকে এতে সহযোইগতা করেন। সঙ্গে সঙ্গে আগন্তুক দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু করতালিতে আশ-পাশ ভরে তুলেন। ড্রোনটি আকাশে ঘুড়ে সফলভাবে মাটিতে অবতরণ করা পর্যন্ত সবাই আনন্দে ফেটে পড়েন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগের উন্নতমানের ড্রোনের মতোই বাংলাদেশী এই চালকবিহীন বিমান যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যে অভিযান চালাতে পারবে। এতে যে মডেলগুলোতে তৈরি করা হয়েছে তার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোর কোনো রানওয়ে লাগে না, ল্যান্ডিংয়ের জন্য কোনো রানওয়ে লাগে না। শুধু হাত দিয়ে থ্রো করলেই হবে। খুব দ্রুত গিয়ে ওই জায়গায় তথ্যগুলো সংগ্রহ করবে। শত্রুপক্ষ যদি সেটা ধ্বংসও করে ফেলে, সে অলরেডি কিন্তু তথ্যগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে। এটা যদি তারা খুলে ফেলে বা হ্যাক করে ফেলে, তাহলে ওটার ভেতরে তারা এ ধরনের কোনো তথ্য পাবে না। যারা আক্রমণ করবে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়ে যাবে। সেখানে ইমেজ প্রসেসর থাকবে, যার ফলে সে শত্রু পক্ষ, মিত্রপক্ষ চিহ্নিত করতে পারবে। দলনেতা সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, "বিষয়টি অনেক আবেগপ্রবণ, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। ড্রোনটি সফলভাবে ওড়ানোর পর অনেক ভালো লাগছে।” গেল বছরের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল একটি ড্রোন বানানোর কথা বলেন নাবিলকে। সেই থেকে শুরু হয় পরিকল্পনা। তার সঙ্গে যোগ দেয় একই বিভাগের রাহাত ও রবি। পরে অধ্যাপক জাফর ইকবালের তত্ত্বাবধায়ন ও অর্থ সহায়তায় শুরু হয় ড্রোন বানানোর কাজ। জাফর ইকবাল বলেন, “ড্রোন তৈরি করতে তরুণ গবেষকরা অনেক চেষ্টা ও শ্রম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা সফল। মূলত সেনাবাহিনীর জন্যই ড্রোন। তবে অন্য কাজেও এটি ব্যবহার করা যাবে। খুবই কম শব্দে চলা ড্রোনটি যেকোনো জায়গায় গিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলে বা হামলা করে চলে আসতে পারবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top