GuidePedia

0
নূহ নবীর নৌকা নতুন করে তৈরি হচ্ছে
নূহ নবীর নৌকা নতুন করে তৈরি হচ্ছে
নোয়াহ’স আর্ক বা নূহ নবীর নৌকা নিয়ে বিভিন্ন জাতির মানুষের মাঝে প্রচলিত রয়েছে অনেক কাহিনী। আর বিভিন্ন প্রাচীন পুঁথিপত্র ঘেঁটে গবেষকেরাও ধারণা করে নিয়েছিলেন যে আসলেই এমন কোনো নৌকার অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার পর এবার শুরু হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক নৌকার পুনঃনির্মাণ! হ্যাঁ, আসলেই নোয়াহ’স আর্ক নতুন করে তৈরি করার প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। ৩,৭০০ বছর পুরনো এক ব্যাবিলনীয় কাদামাটির ফলকে লেখা নির্দেশনার পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সম্প্রতি এবং সেই অনুযায়ী তৈরি করা হচ্ছে এই নৌকা।

এই প্রাচীন কাদামাটির ফলক উদ্ধার করা হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এই ফলকে উদ্ধৃত রয়েছে নোয়াহ’স আর্ক নিয়ে একটি মেসোপটেমিয়ান কাহিনী যা ওল্ড টেস্টামেন্টেও রয়েছে। কিভাবে নোয়াহ সব প্রাণী প্রজাতিকে বন্যার জল থেকে বাঁচিয়েছেন তা বলা আছে এখানে। এখানে নোয়াহ বা নূহ এর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে “আত্রাম-হাসিস” নামটি, যে কিনা ছিলো এক সুমেরিয় শাসক। তার নৌকার আকৃতি ছিলো চাকতির মতো গোলাকার যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান।

আধুনিক কালের বিভিন্ন বস্তু তৈরির যেমন ইন্সট্রাকশন ম্যানুয়াল থাকে, তেমনি এই কাদামাটির ফলকটাও নোয়াহ’স আর্ক তৈরির নির্দেশনা ধারণ করছে। মোটামুটি ৬৫ মিটার ব্যাস নিয়ে এই নৌকা তৈরির কথা লেখা আছে, যার উচ্চতা হবে ৬ মিটারের মতো আর থাকবে দুইটি স্তর। বিভিন্ন প্রাণীর জন্য ভাগ ভাগ করা থাকবে এই নৌকা। একে তৈরি করা হয় দড়ি এবং নলখাগড়া দিয়ে। এর ভেতরে যাতে পানি চুইয়ে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এর ওপরে বিটুমিনের প্রলেপ দেওয়া হয়। ঠিক কি ধরণের বিটুমিন এবং কি ধরণের দড়ি ব্যবহার করে এই নৌকা তৈরি করতে হবে সেটাও বলে দেওয়া আছে এই ফলকে।

নোয়াহ’স আর্ক তৈরির প্রচেষ্টা এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১২ সালে এটা তৈরি করা হয়েছিলো কিন্তু তা ছিলো প্রাচীন কালের সাধারণ সমুদ্রগামী নৌকার মতো। এই প্রথম কোনো নির্দেশনা থেকে গোলাকার করে তৈরি করা হচ্ছে এই নৌকা। এই নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া সত্ত্বেও কিছু গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই নৌকা বাস্তবে কখনও তৈরি করা হয়নি। অন্যদের মতে, নির্দেশনা থাকার অর্থই হলো এই নৌকার অস্তিত্ব ছিলো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top