মেয়েকে ফেরাতে পারলে রাজকন্যা আর রাজত্ব
অনেক চেষ্টা করে সেপথ থেকে গিগি চাওকে ফেরাতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। লোকসমাজে মুখ দেখানোই যেন মুশকিল হয়ে পড়েছে তার।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন সিসিল চাও। কোনা ব্যক্তি যদি তার মেয়ে গিগিকে সমকামিতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন তাকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ২০১২ সালে হংকংয়ের এই ব্যবসায়ী তার মেয়েকে নিয়ে খবরের কাগজের শিরোনাম হন সেবারও তিনি মেয়েকে সমকামিতা থেকে ফেরাতে ৬৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কোনো কাজই হয়নি।
গিগির সঙ্গে এখনও একটি ফরাসি মেয়ের যৌন সম্পর্ক রয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে সিসিল চাও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পুরস্কারের প্রস্তাব অব্যাহত আছে। যিনি আমার এ অসাধ্য কাজটি করে দেবেন তার জন্য রয়েছে রাজত্ব ও রাজকন্যা দুটোই।
তবে আমি কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করার জন্য গিগিকে চাপ দিচ্ছি না। কিন্তু আমি তাকে বিবাহিত ও সন্তানের মা হিসেবে দেখতে চাই। নাতির মুখ দেখতে চাই আমি।
কিন্তু এতেও ফেরাতে পারেনি কেউ। চলতি বছর আবার তার বাবা পুরস্কারের অঙ্কটা বাড়িয়ে ১৩০ মিলিয়ন ডলার করেছেন। তিনি আশা করছেন, তার মেয়েকে এবার কেউ সঠিক রাস্তায় ফেরাবে।
কিন্তু খোদ গিগিই বলছেন, আমার মনে হয় না বাবা কোনো বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে পুরুষের প্রতি আমাকে আকৃষ্ট করতে পারবে। তার চেয়ে আমি এমন মানুষের বন্ধু হতে পারলে খুশি হবো যিনি ভালোবাসার বিশ্বাসের ওপর দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ওই বিশাল অর্থ দান করবেন। আমারও তো স্ত্রী আছে, যদিও আমি সহকামী। আর বাবাকেও আমি খুব ভালোবাসি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন