
রেশমার স্বজন সাহিনুর জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তি রেশমাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। সে অর্থ দিয়েই তার বাড়ি পাকা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রেশমার ভাগ্য বদলের ঘটনায় শুধু তার পরিবারই নয়, এলাকাবাসীও আনন্দিত।
রেশমার মা জোবেদা বেওয়া বলেন, রেশমার উন্নতিতে খুবই খুশি। এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তিনি রেশমার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
adsideপরিবার সূত্র জানায়, হোটেল ওয়েস্টিনে ৩৫ হাজার টাকা বেতনের ওই চাকরি পাওয়ার পর রেশমা ও তার পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় রেশমা তার মা ও পরিবারের জন্য কিছুই পাঠাতে পারেননি। কিন্তু এখন প্রতিমাসেই মার হাতে টাকা পাঠিয়ে দেন। এতে তার মায়ের সংসার চলে যায় স্বচ্ছন্দে। আগে রেশমা মাকে খাওয়া পরার জন্য অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে হতো। মাথা গোঁজার জন্য ছিল জীর্ণ একটিমাত্র কুঁড়ে ঘর। বৃষ্টিতে ভিজতে হতো।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে গার্মেন্টস কর্মী রেশমা। ওই ট্র্যাজেডিতে এক হাজার একশ লোকের প্রাণহানি হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান রেশমা। ভবন ধসের ১৭ দিনের মাথায় গত ১০ মে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল তাকে জীবিত উদ্ধার করে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ তাকে রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি দেয়।
চাকরি পাওয়ার পর রেশমার পরিবার দরিদ্রতা মুক্ত হয়ে এখন স্বপ্ন দেখছে সোনালী ভবিষ্যতের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন