যৌন বা পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি মাদকের চেয়েও কোন অংশে কম নয়। যৌন বা পর্নো আসক্ত মানুষের মস্তিষ্ক সুরা বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের মতোই সক্রিয় দেখায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটি দেখতে পেয়েছেন ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। পর্নোগ্রাফিতে প্রচণ্ডভাবে আসক্তদের মস্তিষ্কে কিছু পরিবর্তন হয় যা অন্যদের ক্ষেত্রে হয়না বলেও দেখতে পেয়েছেন তারা। অতি স¤প্রতি ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ গবেষণার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করেছে।


এ গবেষণার জন্য ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা পর্নোগ্রাফিতে প্রবলভাবে আসক্ত ১৯ জনের একটি দলের সঙ্গে এতে তেমন আসক্ত নয় এমন একটি দলের মস্তিষ্কের সক্রিয়তা যাচাই করে দেখেছেন। এমআরআই স্ক্যান পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রবলভাবে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের আনন্দদায়ী কেন্দ্রগুলো উত্তেজক বিষয়াদি দেখার সময় যেমনভাবে ক্রিয়া করে, একজন সুরাসক্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কও মদের বিজ্ঞাপন দেখার সময় প্রায় একইভাবে ক্রিয়া করে।
গবেষকদলের প্রধান স্নায়ুমনোবিজ্ঞানের সম্মানিক উপদেষ্টা ড. ভ্যালেরি ভুন সানডে টাইমেসকে বলেন, এ অনুসন্ধানে আমরা মস্তিষ্কের আনন্দদায়ী কেন্দ্র ভেন্ট্রাল স্ট্রিয়াটাম এলাকায় ব্যাপক সক্রিয়তা লক্ষ্য করেছি, এ এলাকাটি অনুপ্রেরণা, আনন্দ ও পুরষ্কারের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, একজন সুরা আসক্ত যখন মদের বিজ্ঞাপন দেখে, তাদের মস্তিষ্ক একটি বিশেষ ধরনে উদ্দীপিত হয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পর্নোগ্রাফি আসক্তদের মস্তিষ্কেও আমরা একই ধরনের ক্রিয়া দেখতে পেয়েছি।
পর্নোগ্রাফি আসক্তির সঙ্গে রাসায়নিক ও বস্তুগত আসক্তির কোনো প্রভেদ নেই বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেও একটি প্রতিবেদনও দাবী করা হয়েছিল। ক্যাম্ব্রিজের বিজ্ঞানীদের এ গবেষণা সে প্রতিবেদনের পক্ষেই কথা বলছে। গবেষাণাটির ফলাফল এখনো প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোরে ‘পর্ন অন দ্য ব্রেইন’ নামের এক প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে বলেও গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন