
বিয়ের জন্য মাহমুদের ফ্রেন্ড কেনা কাটা করে। নীলার জন্য জামদানী, ডায়মন্ডের নাক ফুল ইত্যাদি কেনা হয়। বিয়ের দিন ঠিক হয়ে আছে। আজ রাত পেরোলেই কাল বিয়ে। কিন্তু পরদিন বিয়ে হয় না। নীলার ফোন বিয়ের আগের রাত থেকেই বন্ধ। মাহমুদ তার বন্ধুকে ফোন দিয়ে ঘটনা কি জানতে চায়? ফ্রেন্ড জানায় বাদ দে ওই মেয়ের কথা। ওই মেয়ে খারাপ। সে অন্য একজনকে বিয়ে করবে। নীলার অনুরোধে মাহমুদের ফ্রেন্ড নাইম কে এই মিথ্যা কথা গুলো বলতে হয়। মাহমুদ কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। সে নির্বাক হয়ে বসে থাকে।
বিয়ের আগের রাতে নীলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার চেহারা ক্রমশ ফ্যাকাসে হয়ে আসছিলো। তার পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা যায় নীলার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। নীলা কিছুতেই মাহমুদকে তার জীবনের সাথে জড়াতে চাইছে না। নীলা বলে আমি আর মাত্র কয়েক মাস, আমি ওকে এই কয়েকটা দিনের জন্য ঠকাতে পারবো না। ওর জীবন আমি নষ্ট করে দিতে চাই না। নীলা নাইম কে মেসেজ করে, নাইম যেন মাহমুদকে ভুল বোঝায়, যেন বলে নীলা তার সাথে টাইম পাস করেছে। সে অন্য ছেলেকে ভালবাসে তার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে, নীলা খারাপ একটা মেয়ে ইত্যাদি। কিন্তু নাইম পারে না তার বন্ধুকে এই কথা গুলো বলতে। নাইম মাহমুদকে সব বলে দেয়। মাহমুদ সব জানার পর নীলার সাথে অনেক কষ্টে যোগাযোগ করে, কেননা নীলা মাহমুদকে ভুল বোঝাতে চেয়েছিল। মাহমুদকে নীলা অনেক বোঝায়।
মাহমুদের এক কথা " আমি তোমাকে ভালবাসি, তুমি যদি একদিন বাঁচো... আমি তাও তোমাকে বিয়ে করবো... আমি ওই একটা দিন তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই..
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.