GuidePedia

0

আজকের বিষয় প্রেমরোগ
প্রিয় পাঠক, প্রেমরোগ সম্পর্কে আমরা সবাই কিছু না কিছু অবগত আছি। তাছাড়া আপনারা সবাই কম বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। এটি একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। তাই এ রোগ সম্পর্কে জানা আমাদের সবারই আবশ্যক। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এখানে প্রেমরোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

প্রেমরোগ কী ও কেন : প্রেমরোগ একটি আন্তরিক রোগ। অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে এ রোগের উত্পত্তি। এক কথায়, প্রেমে পড়ার কারণে যে রোগের সৃষ্টি হয়, তাকে প্রেম রোগ বলা হয়। তবে প্রেমরোগের সর্বজনীন কোনো সংজ্ঞা এ পর্যন্ত কোনো বাপের পুতে দিতে পারেনি। নারী-পুরুষের পরস্পরের প্রতি সুদৃষ্টির (নাকি কুদৃষ্টির) বাণ নিক্ষেপের ফলে এ রোগের সূচনা হয়। নারীর রূপ-যৌবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পুরুষ আর পুরুষের অর্থ সম্পদ ও স্মার্টনেসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নারী এ রোগে আকান্ত হয়ে থাকে।

উপসর্গ : প্রথম প্রথম বেশ খুশি খুশি লাগবে। মেজাজটা খুবই ফুরফুরে দেখাবে। রাতে ঘুম কিঞ্চিত্ই হবে। ফলে চেহারায় ব্রণ দেখা দেবে। ছেলেমেয়ে উভয়ের মাঝে বেপরোয়া ভাব সৃষ্টি হবে। লাজ-শরম মাথা খেয়ে পালাবে। ছেলের পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে। মোবাইলে ঘন ঘন টাকা লোড করতে হবে। ছেলের মধ্যে বাপের পকেটের টাকা চুরির অভ্যাস সৃষ্টি হবে। ফলে বাপের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হবে। এভাবে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হতে থাকবে।
‘প্রথম প্রথম লাগে ভালো টক লাগে তার পরে,
দিনে দিনে বাড়ে জ্বালা আগুন লাগে ঘরে। থাকে না লাজ-ভয়।’

চিকিত্সা : ‘প্রেমরোগ কঠিন রোগ সহজে তা ছাড়ে না,
কোনো ডাক্তার এই না রোগের ওষুধ দিতে পারে না।’ সুতরাং যুবক-যুবতীরা সাবধান! প্রেমরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই নিজেকে সেইফ করে নিন।

বাঁচার উপায় : প্রেমরোগের যেহেতু চিকিত্সা নেই, সেহেতু এ রোগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাই বুদ্ধিমানের কাজ। পুলিশি ভাইরাস থেকে বাঁচতে যেমন পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরে থাকতে হয়, প্রেমের ভাইরাস থেকে বাঁচতেও একইভাবে নারী-পুরুষকে পরস্পর থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে। পরস্পরের দিকে দৃষ্টি দেয়া থেকে বেঁচে থাকতে হবে। পরস্পরের সঙ্গে মিষ্টি ভাষায় কথা বলা যাবে না। ভাষা একটু কর্কশ হতে হবে। অত্যধিক সাজুগুজু পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি প্রেমরোগ প্রতিরোধে পর্দার বিকল্প নেই।



পরিণতি : এ জগতে প্রেমেরোগের শুভ পরিণতির দৃষ্টান্ত মেলা ভার! প্রেমের পরিণতি হয় কখনও মৃত্যু, কখনও বিচ্ছেদ, কখনও ছেলের দেউলিয়াত্ব আবার কখনও মেয়েকে হতে হয় ২৮ টুকরা লাশ! এছাড়াও আরও অনেক ভয়ানক ও করুণ পরিণতির মধ্য দিয়ে প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। তাই আসুন, আমরা প্রেমরোগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top