ইংরেজি ‘স্মার্ট’ শব্দটির মানে একেক জনের কাছে একেক রকম। যদিও এর আভিধানিক অর্থ অবশ্য চটপটে, তীক্ষ্ণাধী বা বুদ্ধিমান। তবে যাই হোক না কেনো সবারই লক্ষ্য থাকে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে অন্যের কাছে উপস্থাপনের। তাই স্মার্ট হওয়ার জন্য একেক জনের কর্মকাণ্ডের শেষ নেই।
অনেকেই মনে করেন, ইন্টারনেটে বেশি সময় থাকলে, সব সময় দৌড় ঝাঁপের মধ্যে থাকলে বা কথা বেশি বললে কিংবা তর্ক করলে স্মার্ট হওয়া যায়। আদৌ কি তাই? মোটেও না। মনে রাখতে হবে, স্মার্ট হতে হলে অন্যের কথা শুনে তারপর বুঝে কথা বলতে হবে, কারণে-অকারণে দ্বন্দ্বে জড়ানো যাবে না, অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে, সবসময় দৌড়ঝাঁপের মধ্যে না থেকে ধীর স্থির ভাবে চলতে হবে।
মনে রাখতে হবে, স্মার্ট ব্যাক্তিরা কখনো তর্কে জড়ায় না। সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কারণে অকারণে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। তারা কখনো স্মার্ট হতে পারে না। বরং যারা তর্ক এড়িয়ে চলেন তারাই প্রকৃত স্মার্ট ব্যক্তি।
অনেকেই জেনে শুনে নানান কাজে ফাঁকি দেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাজে ফাঁকি দিয়ে সাময়িক সুবিধা বা আরাম হয়তো পাওয়া যায় কিন্তু এটি স্মার্ট মানুষের লক্ষণ নয়। বরং এই কাজ ফাঁকির প্রবণতা ভবিষ্যতের জন্য দুঃখেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। যারা সত্যিকার অর্থে স্মার্ট তারা কখনো কাজে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয় না। তারা সব কিছুর আগে কাজকে প্রাধান্য দেয়। তারা অন্যের ওপর নিজের কাজ চাপিয়ে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করে না এবং নিজের পেশাকে সম্মান করে।
এছাড়া প্রকৃত স্মার্ট হওয়ার জন্য সবাইকেই তার মেধা ও মননকে সানিত করে তুলতে হবে। বেশি বেশি বই পড়তে পারেন, সংস্কৃতি চর্চায় জড়াতে পারেন, দেখতে পারেন নাম করা সব চলচ্চিত্র।
মনোবিজ্ঞানীরাও বলেন, বই কম পড়ে দীর্ঘসময় ফেসবুক, টুইটারে সময় কাটালে স্মার্ট হওয়া যায় না। একমাত্র বই পারে আপনাকে স্মার্ট করে তুলতে। নিয়মিত বই পড়লে শুধু স্মার্ট নয় সেইসঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন