GuidePedia

0

বাংলাদেশের এভারেস্ট জয়ীদের তালিকায় নাম নেই মুসা ইব্রাহীমের, মুসার জায়গায় সেখানে "প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্ট বিজয়ী" হিসেবে নাম আছে এম এ মুহিত এবং নিশাত মজুমদারের। এভারেস্ট বিজয়ের ৬০ বছরপূর্তি উপলক্ষে 'নেপাল মাউন্টিয়ারিং এসোসিয়েশন (এনএমএ)'র প্রকাশিত স্মরনিকায় ১৯৫৩ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত সারাবিশ্বের ৮২ দেশের ১৩৩ প্রথম এভারেস্ট বিজয়ীর তালিকায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। স্মরণিকাটির সহ-প্রকাশক ছিল ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেইনিং অ্যান্ড ক্লাইম্বিং ফেডারেশন (ইউআইএএ)।
'নেপাল মাউন্টিয়ারিং এসোসিয়েশন (এনএমএ)' নেপাল ভিত্তিক জাতীয় প্রতিষ্ঠান যারা এভারেস্ট এর ৩৩টি পয়েন্ট দিয়ে এভারেস্ট এ ওঠার অনুমতি দিয়ে থাকে। এছাড়া বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছে। যেখানে ওই তথ্যের পক্ষে এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিতের বক্তব্য প্রচার করেছে।
একাত্তর টিভির প্রতিবদনে নেপাল মাউন্টেইনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জিম্বু জাম্বু শেরপা বলেন, এভারেস্ট জয় করা নিয়ে মুসা যে ছবিটি দেখিয়েছে, সেটি চূড়ার নয়। কারণ চূড়ার ছবি এমন হয় না। এটি সাত হাজার ফুট নিচে তোলা ছবি।
নেপাল মাউন্টেইনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তালিকাটি শুধুমাত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের "প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী"দের, সেজন্য আরেক এভারেস্ট জয়ী ওয়াসফিয়া নাজনিনের নাম সঙ্গত কারণেই তালিকাতে নেই। কিন্তু প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্ট বিজয়ীর দাবীদার মুসা ইব্রাহীম এর এভারেস্ট অভিযান নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

ঢাকা বিমানবন্দরে অভিনন্দন জ্ঞাপন
এভারেস্টের তিব্বতের অংশ দিয়ে অভিযান শুরু করে ২৩ মে ২০১০ সালে মুসা ইব্রাহীম পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেছেন বলে দাবি করেন।
এর আগে ঢাকা হতে প্রকাশিত 'সকাল বেলার পাখি' নামের শিশু সাহিত্য প্রকাশনায় বাংলাদেশের প্রখ্যাত পর্বতারোহী ইনাম আল হক এর 'বাংলাদেশের মানুষ আজ হিমালয়ে দাড়িয়েছে' শীর্ষক এক লেখায় এভারেস্ট জয়ী হিসেবে মূসা ইব্রাহিমের নাম না উল্লেখ করার কারণে মূসা ১১ জনের নামে মানহানির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি (পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, মামলা নং ৫৪৫/২০১২) বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
ওই মামলার কাগজপত্র সূত্রে জানা গেছে, মূসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে দেওয়া নানা তথ্য এবং বাস্তব তথ্যের অনেক অমিল আছে। এছাড়া ইতোপূর্বে অন্নপূর্ণা-৪, ফ্রে পিক, চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসারি পর্বত জয় নিয়েও নানা গরমিল এবং বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন মূসা ইব্রাহীম, যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং মূসার নিজের লেখা বই এর তথ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। এছাড়া মূসার বিভিন্ন পর্বতাভিযানের গাইড এবং সাক্ষী নেপালি নাগরিক সোম বাহাদূর তামাং এর যোগ্যতা, দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এই বিষয়টি যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পাঠ্য বইগুলোতে এই সম্পর্কিত সংশোধন করতে হবে। বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির যে ধারা তৈরী হয়েছে, এটাও সেই কাতারে যোগ হবে।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক গণমাধ্যম এবং পর্বতারোহীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৪
একাত্তর সংযোগ: প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী নিয়ে বিতর্ক (ভিডিও)
'নেপাল পর্বত' স্মরণিকায় প্রকাশিত প্রথম এভারেস্ট জয়ীদের পূর্ণ-তালিকা
মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে একাত্তর টিভির সংবাদ
মূসা ইব্রাহীম এর এভারেস্ট বিজয় বির্তক, সামাজিক গণমাধ‌্যমে ঝড় 
মুসা ইব্রাহীম, প্রথম আলো এবং বিডিনিউজ বিতর্ক - লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান
মুসা ইব্রাহীমের উপর সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিক/সম্পাদক গোলাম মুর্তোজার ফেসবুকে স্ট্যাটাস
নেভারেস্ট: পর্ব ১ - সচলায়তন, লিখেছেন হিমু
মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় সংক্রান্ত এক হালি ''প্রায় অজানা'' তথ্য - লিখেছেন আসিফ এনতাজ রবি
মুসা ইব্রাহিমের ছবিগুলো - লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ১১/১০/২০১০)
মুসা ইব্রাহীম-এর এভারেস্ট জয়, বিতর্ক, বাস্তবতা ও বিবিধ… - বাংলা ব্লগ, মহাজাগতিক ত্রিভুজ
এভারেস্ট জয়ের সনদ পেলেন মুসা ইব্রাহীম - আরাফাতুল ইসলাম, ডয়েচে ভেল (২৬ মে, ২০১০)
মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় : অবশেষে ভুল স্বীকার এবং কিছু কথা - লিখেছেন নিঃসঙ্গ শেরপা (১৪ ই অক্টোবর, ২০১০)
It's now official:: China Tibet Mountaineering Assoc hands Musa certificate for conquering Everest - The Daily Star (Thursday, May 27, 2010)
মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয় (প্রথম আলো, ২৩-০৫-২০১০)
এভারেস্টে বাংলাদেশ (প্রথম আলো, ২৪-০৫-২০১০)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top